আব্রাহাম থমাস
একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চ বদলানো হয়ে থাকে মাঝেমধ্যেই। এনিয়ে আপত্তিও ওঠে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ এবার সামনে এল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির মতে, সংশ্লিষ্ট বিচারপতির অনুরোধেই এটা হয়ে থাকে।
অ্যাডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি সত্যেন্দ্র জৈন মামলাটিকে অন্য বেঞ্চে স্থানান্তিরত করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছিলেন। বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে যে মামলা রয়েছে সেটা বিচারপতি ত্রিবেদী ও বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে পাঠানো নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার যখন প্রথমবার এই মামলাটি এসেছিল তখন প্রধান বিচারপতি প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাননি। এরপর মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় প্রধান বিচারপতি কোর্ট রেজিস্ট্রির কাছ থেকে মামলাটির ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেন। এরপর ফের কোর্ট চালু হলে প্রধান বিচারপতি আইনজীবী সিংভিকে বলেন , সত্যেন্দ্র জৈনর জামিন সংক্রান্ত ব্যাপারটি বিচারপতি ত্রিবেদীর কাছে পাঠানো হয়েছে। কারণ বিচারপতি বোপান্নার অফিসের তরফে জানানো হয়েছিল তিনি অসুস্থতার জন্য আসতে পারছেন না।
এরপরই প্রধান বিচারপতি জানান, কেন মামলা এক বেঞ্চ থেকে অপর বেঞ্চে পাঠানো হল তা নিয়ে নানা আপত্তি জানিয়ে চিঠি আসে রেজিস্ট্রির কাছে। অভিযোগ করাটা খুব সোজা। কিন্তু আসল ব্যাপারটি হল দেওয়ালির পর বিচারপতি বোপান্নার বাসভবনের অফিস থেকে বলা হল মামলার যে অংশটি তিনি এর আগে শুনেছেন সেটা তিনি আর শুনবেন না। এদিকে সূত্রের খবর, আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে ও প্রশান্ত ভূষণ এই বিচারপতিদের বেঞ্চ বদল নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন।
তবে দাভের চিঠিতে বিশেষ কোনও মামলার কথা উল্লেখ করা ছিল না। কিন্তু প্রশান্ত ভূষণ ইউএপিএম মামলা সংক্রান্ত বিষয়কে উল্লেখ করেন।