চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে কাজ করছে সেব্যাপারে স্বস্তি প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ভোটের জন্য় এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অমিত শর্মা। তিনি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা, ও মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের সামনে জানিয়েছেন, প্রথমবার যারা ভোট দিতে চান তারা ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অত্যন্ত উৎসাহী হন। কিন্তু মৃত ভোটার বা কোনও ডুপ্লিকেট নাম ভোটার তালিকায় থাকলে তা বাদ দেওয়ার ব্যাপারে পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ সহায়তা করেন না।
তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন ও বুথস্তরের আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, চূড়ান্ত যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে সব মিলিয়ে ৯৬.৯ কোটি ভোটার তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
প্রায় দু কোটি নতুন ভোটার তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় তুলেছেন। তার মধ্য়ে ১৮-১৯বছর বয়সি ও ২০-২৯ বছর বয়সিরা রয়েছেন। ওই আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে একটি জনস্বার্থ মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সেই মামলায় বলা হয়েছিল প্রচুর ভুতুড়ে ভোটার রয়েছে এই তালিকায়। সবার আগে এই নামগুলি বাদ দেওয়া দরকার। এনিয়ে আদালত যাতে নির্দেশ দেয় কমিশনকে সেব্যাপারে আবেদন জানানো হয়।
তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে তারা ভোটার তালিকা সংক্রান্ত ব্যাপারে কমিশন যে কাজ করেছে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না।