জয়দীপ ঠাকুর
বিপর্যয়ের জেরে তিস্তার পলির নীচে আটকে রয়েছে সেনা বাহিনীর গোলা বারুদ। আর সেই আতঙ্ক ক্রমেই চেপে বসছে। এর জেরে সিকিমে বিপর্যয় মোকাবিলা ও পুনর্গঠনের কাজও ব্যহত হচ্ছে বলে খবর। গত ৪ অক্টোবর তিস্তায় ভয়াবহ হড়পা বানে উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা বিপর্যস্ত হয়েছিল। এরপর বেশ কিছুদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও এখনও বিস্ফোরকের নয়া আতঙ্ক।
এবার অন্য়তম বড় উদ্বেগ হল পলির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া বিস্ফোরক। সেগুলিকে চিহ্নিত করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। অতিরিক্ত টিম, স্নিফার ডগ দিয়ে সেই বিস্ফোরকগুলি চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, পলির নীচে বিস্ফোরক লুকিয়ে থাকতে পারে। তার জেরে উন্নয়নের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। এটা একটা বড় উদ্বেগের বিষয়।
সূত্রের খবর, উত্তর সিকিমের সেনা ছাউনি তিস্তার হড়পা বানে ভেসে যায়। এরপর বিস্ফোরক, অস্ত্র, সব ভেসে যায় তিস্তায়। সেগুলি তিস্তার নিম্ন প্রবাহে নেমে আসতে থাকে। জলপাইগুড়িতেও তিস্তাতে নেমে আসে সেই বিস্ফোরক। তবে পলির নীচে সম্ভবত এখনও কিছু বিস্ফোরক চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে খবর।
গোটা ঘটনাটি সিকিমের মুখ্যসচিব ভিবি পাঠক কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে একটি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে জানিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় পলির নীচে চাপা পড়ে থাকতে পারে এই অস্ত্র ও বিস্ফোরক।
এদিকে হিন্দুস্তান টাইমসে আগেই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এনিয়ে সিকিম ও জলপাইগুড়ির বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে।
এক আধিকারিকের কথায়, স্থানীয়দের ও উদ্ধারকারী টিমকে বলা হয়েছে, উদ্ধার করার সময় অত্যন্ত সতর্ক হয়ে কাজ করবেন। নদীর চড়ায় কোনও সন্দেহজনক বস্তু পেলেই যেন খবর দেওয়া হয়। এনিয়ে একাধিক রিপোর্ট মিলেছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই সেনা কর্তৃপক্ষ ১২০০ টি জায়গায় এই বিস্ফোরককে নষ্ট করে দিয়েছে।
এক সেনা আধিকারিকের কথায়, প্রথমদিকে ৩৩টি টিম করা হয়েছিল। ৬-৭জন সেনা ও একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। তবে বর্তমানে ৫০টি টিম করা হয়েছে। স্নিফার ডগের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমনকী বিস্ফোরক চিহ্নিত করতে বিশেষ ধরনের ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে।