উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসায় এবার চালু হতে চলেছে সংস্কৃত শিক্ষা। সে রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ড রাজ্যের মাদ্রাসায় সংস্কৃত চালু করবে বলে জানিয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান শাদাব শামস মন্তব্য করেন, শিশুদের প্রথাগত মাদ্রাসা শিক্ষার সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্ব জগতের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। তিনি আরও বলেন, এপিজে আব্দুল কামালের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে সাহায্য করবে এমন পদক্ষেপ। বোর্ড চেয়ারম্যান বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে শিশুদের শিক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমে সংস্কৃত শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে শামস বলেন, ‘দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে যদি সংস্কৃত পড়ানো না হয়, তাহলে আর কোথায় পড়ানো হবে!’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ভাষা ও সংস্কৃতির জ্ঞান থাকা উচিত। মাদ্রাসায় শিক্ষা সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয়। মুসলিম শিশুদেরও সবকিছু অধ্যয়নের অধিকার আছে।’
মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শামস বলেন, ‘পাঠ্যক্রমটি হবে বৈজ্ঞানিক শিক্ষা এবং ইসলামিক অধ্যয়নের সমন্বয়।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ড রাজ্যের ১১৭ টি মাদ্রাসায় এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এনসিইআরটি সিলেবাসে সংস্কৃতও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যখন আমাদের শিশুরা হিন্দি, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা, আরবি শিখতে পারছে তারা সংস্কৃতও অধ্যয়ন করতে পারবে।’
ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মিস্টার শামস ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে শিশুদের শিক্ষিত করার জন্য যে কোনও প্রয়োজনে সরকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এই শিশুরা এপিজে আবদুল কালামের পথে হাঁটতে শিখবে। আমরা এভাবেই ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাব।’ শেষ পর্যায়ে মাদ্রাসাগুলির উন্নয়নের জন্য ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ড। ‘৪০-৫০টি মাদ্রাসা তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের জন্য আমাদের কাছে এসেছে। দেরাদুন, হরিদ্বার, উধম সিং নগর এবং নৈনিতাল জেলায় চারটি মাদ্রাসার আধুনিকীকরণের ভিত্তিতে নির্মিত হবে।’ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে একথা জানান শামস।
সারাদেশ জুড়ে বহু ক্ষেত্রেই এনসিইআরটি পাঠ্যসূচি যখন সমালোচিত হচ্ছে বহু পাঠ্য বা ঐতিহাসিক ঘটনা বাদ দেওয়ার জন্য, তখন উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ড গ্রহণ করল এনসিইআরটিকে। এখন দেখার মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা কতটা আগ্রহী হয় সংস্কৃত শিক্ষায়।