জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগ যখন সময়ের অপেক্ষা তখনই তাঁকে কটাক্ষে বিঁধলেন লোকসভায় দলের পরিষদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসে রাজার হালে ছিলেন, বিজেপিতে গেলে প্রজা হওয়া অভ্যাস করতে হবে জ্যোতিরাদিত্যকে।’
অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন উনি। ওকে যোগ্য সম্মান দিয়েছে কংগ্রেস। তার পরও লোভের বশে বিজেপিতে যাচ্ছেন তিনি।’ অধীরবাবুর দাবি, ‘লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হলেও তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিল দল। কিন্তু মোদীর মন্ত্রিত্বের প্রলোভনে পা দিয়েছেন তিনি। তবে মানতেই হবে, ওর চলে যাওয়া কংগ্রেসের কাছে বড় ক্ষতি।’
অধীরবাবু মনে করান, ‘সিন্ধিয়া বংশের ঐতিহ্যের বিপরীতে হেঁটে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বাবা মাধবরাও। রাজ পরিবারের সদস্য হওয়ায় আমরা তাঁকে যোগ্য সম্মান দিতাম। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেছেন।’ বহরমপুরের সাংসদের আক্ষেপ, ‘লোভ মানুষকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায়।’
এর পরই জ্যোতিরাদিত্যকে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেন অধীর। বলেন, ‘কংগ্রেসে উনি রাজার হালে ছিলেন। বিজেপিতে ওকে প্রজা হতে হবে।’
অধীরের এই মন্তব্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। তবে কি স্বাধীনতার সাত দশক পরেও রাজন্যবাদকে প্রচ্ছন্নে সমর্থন করে কংগ্রেস? দেশের সংবিধান বলে প্রত্যের নাগরিকের অধিকার সমান। তাহলে ‘কংগ্রেস পার্টিতে রাজ পরিবারের সদস্যের আলাদা মর্যাদা রয়েছে’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন অধীর? আর ‘প্রজা হওয়া অভ্যাস করতে হবে বলতেও কী বোঝাতে চেয়েছেন তিনি?’