পুরভোটের মুখে ফের ত্রিপুরায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল প্রার্থী। আগরতলার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ সরকারের ওপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এর আগেও একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে তৃণমূল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। পুরভোটের আগে এভাবে হিংসার ঘটনায় স্বভাবতই উত্তপ্ত ত্রিপুরা।
ঘাসফুল শিবিরের দাবি, বুধবার রাতে তেলিয়ামুড়ায় তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে যখন প্রচার চালাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা, তখন দলীয় পতাকা হাতে নিয়েই ওই তৃণমূল প্রার্থীর ওপর হামলা চালায় ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী। লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে। গোটা ঘটনায় পাঁচজন তৃণমূল সমর্থক জখম হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়া হয়। লাঠি, রড, বাঁশ দিয়ে হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার আগরতলার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ সরকারের ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁর ঘাড়ে, গলায়, পিঠে ও পায়ে চোট রয়েছে। তাঁকেও হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে। এর আগেও আগরতলায় এক তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
গোটা ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। ধারাবাহিকভাবে তাঁরা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আগরতলা হোক বা তেলিয়ামুরা, সোনামুরা হোক, সব জায়গায় বিজেপির হার নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, মানুষ তৃণমূলকে পছন্দ করে। তৃণমূলকেই ভোট দেওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে জানাবে। রাজ্য প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। তৃণমূল প্রার্থী, কর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা প্রসঙ্গে সাংসদ সুস্মিতা দেব জানান, তৃণমূল প্রার্থীরা যাতে প্রচার করতে না পারেন, সেজন্য লাগাতার হামলা চালানো হচ্ছে। বিজেপির গুণ্ডারা হামলা চালালেও ওদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও এফআইআর নিচ্ছে না। হামলাকারীদের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।