প্রয়োজন ছিল সম্পর্ক ঘিরে আইন নিরাপত্তার, আর তা পেতে নাগপুরের এক সমলিঙ্গ জুটিকে স্বাক্ষর করতে হয়েছে মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্র্যান্ডিং বা মৌতে। পুনে জেলা আদালতে এই মৌ স্বাক্ষরিত হয়। ঘটনার খবর শুনে অবাক হয়েছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, তাঁরা নিরাপত্তা চাইছিলেন তাঁদের নিজেদের পরিবারের থেকে। কারণ তাঁদের পরিবার এই সম্পর্কে বিরোধী বলে দাবি এই দুই মহিলা সঙ্গীর।
সমলিঙ্গের এই সম্পর্কে একজন মহিলা নাগপুরের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ২৮। অন্যজনের বয়স ১৯, তিনি মহারাষ্ট্রের গন্ডিয়া জেলার মেয়ে। নিরাপত্তার কারণে তাঁরা নিজেদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। ২০২১ সালে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ। তারপর থেকে লিভ ইন-এ থাকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এরপর ১৭ এপ্রিল তাঁরা মৌ স্বাক্ষর করেন। সম্পর্কে থাকা ১৯ বছরের মহিলার পরিবার থেকে বারবার হুমকি আসছিল বলে অভিযোগ। তাঁরা যে 'মৌ'টি স্বাক্ষর করেছেন,তাতে তাঁরা নিরাপত্তা চেয়েছেন তাঁদের থেকে যাঁরা তাঁদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে 'তাঁদের সম্পর্কের প্রতি শত্রুতামূলক বা শত্রুতাপূর্ণ' আচরণ করছিলেন। নথিতে বলা হয়েছে, 'উভয় পক্ষই পারস্পরিকভাবে কোন প্রকার বলপ্রয়োগ, প্রতারণা, জবরদস্তি ছাড়াই স্বেচ্ছায় লিভ-ইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তাই এই লক্ষ্যে এই এমওইউ করা হচ্ছে। উভয় পক্ষের মধ্যে এই বিষয়ে একমত হয়েছে যে তারা এখানে থাকা পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে একসাথে বসবাস করবে এবং একে অপরের জীবিত সঙ্গী এবং অংশীদার হিসাবে কাজ করার জন্য প্রতিটি পক্ষের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি।'
এখানেই শেষ নয়, ওই নথিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, ওই জুটি একটি যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলবে এবং জীবন চালানোর ক্ষেত্রে একযোগে খরচের ভার নেবে। এমনকি কোনও সম্পত্তি ক্রয়ের ক্ষেত্রেও তারা যৌথভাবে এগোবে। এই সমলিঙ্গ জুটির আইনজীবী বলছেন, ' যদিও ৩৭৭ ধারা বাতিল করা হয়েছে, তবে সমকামী বিবাহকে সমর্থন করার জন্য কোনও আইন নেই। এই মুহুর্তে, দম্পতি যাতে নিরাপদে এবং নিরাপদে থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই একটি সমঝোতা স্মারক (মৌ) সই হয়েছে।' উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত বহু সমলিঙ্গের জুটিকে (প্রাপ্ত বয়স্ক) আইনি নিরাপত্তা কোর্ট থেকে চাইতে লিভ ইনের বিষয়ে হলফনামায় স্বাক্ষর করতে দেখা গিয়েছে। সাম্প্রতিককালে এক লেজবিয়ান জুটি পরিবার ও পুলিশের দ্বারা হেনস্থা হওয়ার পর তামিলনাড়ু হাইকোর্ট একাধিক নির্দেশ দেয়।