এতদিন টমেটোতে হাত দেওয়া যাচ্ছিল না। এত দাম। তবে সেই দাম কমতে কমতে একেবারে ধপাস করে পড়ে যাচ্ছে বলে খবর। তবে সূত্রের খবর, এবার টমেটো চাষিদের রক্ষা করার জন্য সরকার দেশের কিছু রাজ্যে টমেটো কেনার কথা ভাবছে। মূলত এভাবে টমেটোর দাম পড়ে যাওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।
সব থেকে বড় কথা গত অগস্ট মাসে যে টমেটোর কেজি প্রতি দাম ছিল ২৫০ টাকার বেশি তার দাম গত সপ্তাহে হয়ে গেল ৩-১০ টাকা প্রতি কেজি। পরিস্থিতি এমন যে গবাদি পশুকে টমেটো খাইয়ে দিচ্ছেন কৃষকরা। মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটকে এমনই পরিস্থিতি। খবর মিন্ট সূত্রে।
এদিকে যে সমস্ত রাজ্যগুলিতে টমেটো উৎপাদন করা হয় সেখানে ফলন ক্রমেই বাড়ছে। সেপ্টেম্বরেই ৯৫৬,০০০ টন টমেটো উঠতে পারে। অক্টোবরে আরও ১.৩ মিলিয়ন টন টমেটো উঠবে। সব মিলিয়ে কার্যত টমেটোতে ভেসে যাবে গোটা দেশ। সেক্ষেত্রে যোগান বাড়লে দাম আরও কমবে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায় সেটাই এখন সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুতে, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।
আপাতত উদ্যানপালন দফতর ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলেছে। যে সমস্ত রাজ্যে টমেটোর দাম কমেনি সেখানে যাতে টমেটো পাঠানো যায় সেব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। মূলত কৃষকদের বাঁচাতে সস্তার টমেটো কিনে নিয়ে সেটা দেশের অন্য প্রান্তে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
পেঁয়াজের মতো করে বিষয়টি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে কিছুদিন আগেও টমেটোর দাম ছিল ২৬০ টাকা কেজি। পরিস্থিতি এমন হয় যে নেপাল থেকে টমেটো আনতে হয়। আর এবার জলের দরে টমেটো। তবে দেশের সব জায়গায় যে এমন পরিস্থিতি সেটা নয়। বহু জায়গায় টমেটো এখনও ৩০-৪০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। কলকাতাতেও এই দাম।