আফগানিস্তানে আইএস জঙ্গিদের নিকেশ করতে গিয়ে বড়সর ভুল করে বসেছিল আমেরিকা। নিজে মুখেই সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি। এনিয়ে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে। আসলে গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে গত মাসে কাবুলে একটা সন্দেহজনক টয়োটা গাড়িকে টার্গেট করেছিল মার্কিন সেনা। ইনটেলিজেন্স মারফৎ তাদের কাছে খবর ছিল এই টয়োটা গাড়িতে চেপেই কাবুল বিমানবন্দরে হানা দিতে পারে আইএস জঙ্গিরা। এরপরই শুরু হয় অপারেশনের প্রস্তুতি। ড্রোন অ্যাটাকের মাধ্যমে সেই গাড়িটিকে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর এখানেই বড় ভুল করে বসেছে মার্কিন সেনা। আসলে ওই গাড়িতে আইএস জঙ্গিরা ছিল না। সাতজন শিশু সহ ১০জন সাধারণ মানুষ ছিলেন গাড়িতে। ভয়াবহ এই হানায় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাদের শরীর।
আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, এটা একটা ট্রাজিক ভুল হয়ে গিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন মৃতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমরা ক্ষমা চাইছি। আগামীদিনে এই ভয়াবহ ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নেব। ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।
মার্কিন সেনা জানিয়েছে গত ২৯শ অগস্ট প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে ওই সাদা টয়োটার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল। এই ধরনের টয়োটা গাড়ি সাধারণত আইএস জঙ্গিরা ব্যবহার করে। কিন্তু মার্কিন ইনটেলিজেন্স সেদিন একটি ভুল টয়োটাকে চিহ্নিত করেছিল। আর তার পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। মার্কিন সেনা ভেবেছিল গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই আছে। কিন্তু এতে আসলে জলের ড্রাম ছিল। গাড়িতে ছিলেন এজমারাই আহমাদি নামে এক ব্যক্তি যিনি মার্কিন সহায়তাপুষ্ট একটি গ্রুপের হয়েই কাজ করতেন। কোনওরকম জঙ্গি যোগ তাঁর ছিল না। তাঁর ভাই আইমল বলেন, রকেটটা সোজা এসে গাড়িটাকে মারল। দাদা, দাদার চারটি বাচ্চা, আমার মেয়ে সকলেই মারা গিয়েছে এই হামলায়।