গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও অধ্যক্ষদের চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মাদক সেবনের বিরুদ্ধে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়কে। এই নির্দেশিকাটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের 'নেশা মুক্ত ভারত অভিযান' এর লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই অভিযানের একটি প্রধান উদ্দেশ্য হল কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে মাদকদ্রব্য বহন ও সেবন রোধ করা।
ইউজিসি সচিব মনীশ জোশী চিঠিতে লিখেছেন, 'এটা স্পষ্ট যে নির্দিষ্টভাবে শিক্ষার্থী এবং যুবক যুবতীদের মাদকদ্রব্যের কবলে পড়ার ঝুঁকি বেশি। সেই জন্য এই অভিযানে প্রাথমিকভাবে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের শিক্ষক, NSS স্বেচ্ছাসেবক এবং শিক্ষার্থী ক্লাবগুলির মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে নিয়মিত কর্মসূচির দ্বারা ক্যাম্পাস এবং পার্শ্ববর্তী স্থানগুলিতে মাদকদ্রব্য বিরোধী প্রচার গড়ে তুলতে পারে।'
ইউজিসি (UGC) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিকে র্যাগিং বিরোধী, মাদকদ্রব্য মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলার প্রচার এবং বিভিন্ন সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ক্লাব প্রতিষ্ঠা করার উপদেশ দিয়েছে। নির্দেশিকাটিতে একটি ওয়েব লিংকও অন্তর্ভুক্ত আছে, যাতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবিত কার্যক্রমের একটি তালিকা আছে। এরই সঙ্গে আছে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার্থী জীবনে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করার প্রতিশ্রুতি চাওয়ার প্রস্তাব এবং শিক্ষার্থীদের দ্বারা স্বাক্ষর করার ফর্ম।
নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকার করতে হবে: 'আমি সচেতন যে অ্যালকোহল, তামাকসহ যেকোনো মনের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী মাদকদ্রব্য নিজের কাছে রাখা, সেবন করা,বিক্রি করা কিংবা বিতরণ করা একটি অন্যায় কাজ এবং ক্ষতিকর। আমি এরূপ দ্রব্যের ব্যবহার, ধারণ, বিতরণ বা বিক্রযয়ের থেকে নিজেকে বিরত রাখব।'
'নেশা মুক্ত ভারত অভিযান' এর লক্ষ্য হল দেশজুড়ে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার প্রতিরোধ করা এবং মাদকমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা। এই উদ্যোগটি মাদকাসক্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক যেমন মাদক প্রতিরোধ করা, চিকিৎসা, পুনর্বাসন, জনসচেতনতা বৃদ্ধিকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে সম্মিলিত প্রচেষ্টাই মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে।