ইচ্ছাকৃতভাবে পাঁচ মিনিট অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেজন্য আগ্রার একটি বেসরকারি হাসপাতালকে সিল করে দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেইসঙ্গে পুরো ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়প্রতাপ সিং বলেন, ‘আগ্রার পরশ হাসপাতালে অক্সিজেন জোগান সংক্রান্ত ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল। রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে তদন্ত কমিটি। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আগ্রার জেলাশাসক প্রভু এন সিং জানিয়েছেন, আপাতত হাসপাতালে যে ৫৫ জন রোগী ভরতি আছেন, তাঁদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়। যা আগ্রার ওই বেসরকারি হাসপাতালের বলে দাবি করা হয়েছে। ভাইরাল ভিডিয়োয় যে ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁকে আগ্রার পরশ হাসপাতালের মালিক আরিঞ্জয় জৈন বলে দাবি করেছেন একাংশ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মক ড্রিল’-এর অংশ হিসেবে গত ২৬ এপ্রিল হাসপাতালে পাঁচ মিনিটের জন্য অক্সিজেনের জোগান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিন বেঁচে ফিরতে পারেননি ২২ জন। তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, সেদিন হাসপাতালে অক্সিজেনের আকাল ছিল। রোগী ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও কোনও পরিবারের লোকজন তাতে রাজি হননি।
আরিঞ্জয়কে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) বলতে শোনা হয়, ‘তখন আমি মক ড্রিলের মতো একটা পরিকল্পনা করি এবং যাঁদের অক্সিজেন জোগান বন্ধ করা যাবে, তাঁদের চিহ্নিত করার জন্য হাসপাতালের কর্মীদের নির্দেশ দিই। সেভাবেই আমরা জানতে পারব যে কে মারা যাবেন এবং কারা বাঁচবেন। সকাল সাতটায় মক ড্রিল হয়। কেউ এটার বিষয়ে জানেন না।’ তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘অক্সিজেনের জন্য ২২ জন রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁদের শরীর নীল হতে শুরু করে। আমরা জানতে পারি যে তাঁরা বাঁচবেন না। আইসিইউ ওয়ার্ডের যাঁরা ৭৪ জন বেঁচে যান, তাঁদের (পরিবারের লোকজনকে) অক্সিজেনের সিলিন্ডার আনতে বলা হয়।’
সেই ভিডিয়ো নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। যদিও হাসপাতালের মালিক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তেমন কোনও ঘটনা হয়নি। ২৬ এপ্রিল হাসপাতালে ২২ জন মারা যাওয়ার দাবি উড়িযে দিয়েছেন আগ্রার জেলাশাসকও। তিনি দাবি করেন, ২৬ এবং ২৭ এপ্রিল পরশ হাসপাতালে মাত্র সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে মহামারী আইন ভঙ্গ, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে অকারণে ভয় দেখানো এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় মামলা রুজু করতে বলেছেন জেলাশাসক।