এককথায় উদ্য়োগপতি। বেকার যুবকদের জন্য় বিশেষ প্রশিক্ষণশালা খুলেছিলেন বিহারের ছাপড়ার এক ব্যক্তি। ১৫ মিনিটে কীভাবে এটিএম ভাঙতে হবে তারই প্রশিক্ষণ দেওয়া হত সেখানে। ওই ব্যক্তির নাম সুধীর মিশ্র। জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটি পুলিশ স্টেশন এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সব মিলিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি এটিএম থেকে ৩৯.৫৮ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৯.১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। তবে এবার সুধীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই অন্তত ১০০০ টি সিসি টিভি ফুটেজ, মোবাইল ডেটা, ২০টি টোল এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এটিএমের কাছে একটি বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাদের দেখা গিয়েছে। একটি নীল রঙের গাড়ির সন্ধান মিলেছে। তাতে করেই তারা পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশ বিহারের সীতামারিতে সেই গাড়ির মালিকের কাছে যায়। এদিকে ইউপির সুলতানপুর রোডে পুলিশ সেই গাড়িটিকে আটক করে। এরপর চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গল্ফ সিটির এসএইচও শৈলেন্দ্র গিরি জানিয়েছেন, নীরজ বলে ধৃত যুবক ওই টিমের স্থায়ী সদস্য। তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা রয়েছে।
নীরজ জানিয়েছে মিশ্রর কাছ থেকে সে এটিএম খোলার কায়দা শিখেছিল। পুলিশ জেনেছে, মিশ্র একটি দক্ষ গ্য়াংকে চালাত। প্রয়োজনে অন্য রাজ্য থেকে সে বেকার যুবকদের ভাড়া করে আনত।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে ছাপড়ায় নিয়ে আসা হয়েছিল ওই যুবকদের। এরপর তিন মাসের কোর্স করানো হয়েছিল। যেখানে শেখানো হত কীভাবে দক্ষতার সঙ্গে এটিএম খুলে টাকা হাতাতে হবে। প্রথমে এটিএমে ঢুকে ক্যামেরা আড়াল করা, কাঁচের দেওয়ালে কুয়াশার মতো স্প্রে করা, এরপর এটিএম খুলে, ক্যাস বাক্স খুলে ১৫ মিনিটের মধ্যে টাকা নিয়ে চম্পট। ধাপে ধাপে এটাই শেখানো হত। যে সমস্ত যুবকরা ১৫ মিনিটের মধ্য়ে এই কাজ করতে পারত তাদেরই এই কাজে ফিল্ডে নামানো হত। গত এক বছরে অন্তত ৩০টি অপারেশন সে চালিয়েছে বলে অভিযোগ।