কাতারের সমকামিতা বিরোধী নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের প্রথমদিন থেকে কাতারে থেকে সেই দেশের কলঙ্কিত চরিত্র তুলে ধরেছিলেন। পরিযায়ী মৃত্যু নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন। সমকামী সমর্থনকারী টিশার্ট পরে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। এহেন মার্কিন সাংবাদিক গ্র্যান্ট ওয়াল মারা গেলেন আর্জেন্তিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ চলাকালীন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে মার্কিন ফুটবল সংস্থা। গ্র্যান্টের ভাই এরিক অভিযোগ করেন, কাতারি সরকার তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে থাকতে পারে।
জানা গিয়েছে, আর্জেন্তিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎই স্টেডিয়ামে অসুস্থ হয়ে পড়েন গ্র্যান্ট ওয়াল। এরপরই তিনি মারা যান। এই নিয়ে গ্র্যান্টের ভাই এরিং বলেন, ‘আমি সমকামী। আমার জন্যই স্টেডিয়ামে সাতরঙা টিশার্ট পরে গিয়েছিল গ্র্যান্ট। আমার ভাই সুস্থ সবল মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন যে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি আমার ভআইকে খুন করা হয়েছে। আমি সাহায্য প্রার্থনা করছি।’
প্রসঙ্গত, কাতারে সমকামিতা নিষিদ্ধ। এই আবহে সেখানে বিশ্বকাপের মঞ্চে সমকামিকতার বিরুদ্ধে কড়াকড়ি চালাচ্ছে কাতার। এমনকি ফিফাও কাতারের এই ‘বিধিনিষেধে’ ‘মদত’ দিয়ে চলেছে। মুখে সমকামীদের স্বাগত জানালেও ছয়রঙা কোনও পোশাক পরিহিত সমর্থক, দর্শককেই স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাতারে। এই আবহে এর আগে এক মার্কিন সাংবাদিকের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছিল কাতারে। গ্র্যান্ট ওয়াল নামক সেই সাংবাদিক টুইট করে জানান, কালো রঙের টিশার্টের ওপর রামধনু আঁকা থাকায় তাঁকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে বলে দেওয়া হয়, ‘এই টিশার্ট পরে ঢোকা যাবে না। এর অনুমতি নেই।’ শুধু তাই নয়, সেই সাংবাদিককে আধঘণ্টা আটক করে রাখা হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি যখন টুইট করেন, তখন নাকি নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর ফোন কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে অবশ্য সেই সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কমান্ডর। ফিফার তরফেও তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে ক্ষমা চাওয়া হয়।