উত্তরপ্রদেশে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটল মঙ্গল সন্ধ্যায়। অপরাধটি ঘটেছে বদায়ুনের বাবা কলোনি এলাকায়। জানা গিয়েছে, সেখানে দুই শিশুর গলা কেটে খুন করে এক দুষ্কৃতী। মৃত শিশুদের একজনের বয়স ছিল ১১ বছর অপরদনের ৭ বছর। এই পরিস্থিতিতে শিশু মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বদায়ুনে। অপরদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করে। অবশ্য জেরা করা বিচারের আগেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সেই দুষ্কৃতীর। এদিকে এই গোটা ঘটনা যাতে সাম্প্রদায়িত দাঙ্গায় পরিণত না হয়, এর জন্যে এলাকাবাসীর উদ্দেশে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। (আরও পড়ুন: ব্যস্ত হলেন নবনিযুক্ত DGP, কোচবিহারে 'নিশীথ বনাম উদয়ন' কাণ্ডে রিপোর্ট তলব বোসের)
আরও পড়ুন: CAA-তে পুরুষাঙ্গ পরীক্ষার নিদান দেওয়ায় তথাগতর বিরুদ্ধে থানায় মমতাবালা ঠাকুর
রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বদায়ুনের বাবা কলোনি এলাকায় বিনোদ কুনার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে উপস্থিত হয় সাজিদ নামে এক যুবক। সেই সময় বিবোদ বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে শুধুমাত্র বিনোদের স্ত্রী এবং তিন সন্তান ছিল। এই সাজিদ নাকি বিনোদের পূর্বপরিচিত। এই আবহে বিনোদের বাড়িতে আগও সে এসেছিল। বিনোদের স্ত্রীর সঙ্গেও তার আলাপ পরিচিতি ছিল। এই আবহে সাজিদকে বসিয়ে চা খাওয়ার অনুকোধ করেছিলেন বিনোদের স্ত্রী। এরপর বিবোদের স্ত্রী যখন সাজিদের জন্য চা তৈরি করতে যান, তখন বাড়ির ছাদে ওঠে সাজিদ। সেথানে আয়ুষ, আহান ও পীযূষ নামে বিনোদের তিন সন্তান খেলা করছিল। সেই সময় আয়ুষ এবং আহানকে খুন করে সাজিদ। পীযূষকেও খুনের চেষ্টা করেছিল সে। তবে শেষ পর্যন্ত পীযূষকে গুরুতর জখম অবস্থায় রেখেই সেখান থেকে পালায় সাজিদ। (আরও পড়ুন: 'তারিখ পে তারিখ', DA মামলার পরের শুনানি কবে? এল আপডেট, মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের)
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আকাশ কালো করে বৃষ্টি সকাল থেকে, কলকাতার পারদ নামল ৫ ডিগ্রি!
রিপোর্ট অনুযায়ী, কুড়ুলের কোপে আয়ুষ এবং আহানের দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেয় সাজিদ। এদিকে ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই গোটা এলাকায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাজিদের একটি সেলুন ছিল। তাতে উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন ধরিয়ে দেন। এদিকে পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে। পরে সাজিদকে প্রায় ধরে ফেলে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত সাজিদ পালাতে গেলে এনকাউন্টারে তাকে খতম করে দেয় পুলিশ। এদিকে বিনোদের পরিবারের দায়ের করা এফআইআর-এ সাজিদের ভাই জাভেদের দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। পরিবারের দাবি, বিনোদর থেকে সাজিদরা ৫ হাজার টাকা দাবি করেছিল। তবে ঠিক কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে এলাকার উত্তেজিত জনতাকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।