অযোধ্যার (Ayodhya) উপকণ্ঠে ধন্যিপুর গ্রামে মসজিদ এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক নির্মাণের চূড়ান্ত নকশা প্রকাশ করল উত্তর প্রদেশ কেন্দ্রীয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড (Uttar Pradesh Sunni Central Waqf Board)।
বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, মসজিদটি ৩,৫০০ বর্গ মিটার এলাকায় গড়ে তোলা হবে এবং তাতে বিকল্প বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহার করা হবে। মসজিদে থাকছে মহিলা নমাজিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। মসজিদে একত্রে নমাজ পড়তে পারবেন ২,০০০ নমাজি।
ধন্যিপুর মসজিদ ছাড়াও সংলগ্ন চত্বরে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, মিউজিয়াম, ইন্দো-ইসলামিক সংস্কৃতি ও গবেষণা কেন্দ্র ও সমবায় রসুইঘর-সহ অন্যান্য নির্মাণও হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড।
সমগ্র ধন্যিপুর কমপ্লেক্স-এর প্রধান বাস্তুকার অধ্যাপক এস এম আখতার শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘গোটা ধন্যিপুর মসজিদ চত্বর আধুনিক নকশায় তৈরি হবে। এতে কোনও পারম্পরিক গম্বুজ বা আর্চ থাকবে না। সবচেয়ে বড় কথা, মসজিদ ও হাসপাতালের বেশ কিছু অংশে বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে না।’
লখনউয়ের বাস্তুকার ও নগর পরিকল্পক এস এম আখতার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুশিল্প বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ডিন। ধন্যিপুর মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য তাঁকে নিয়োগ করেছে উত্তর প্রদেশ কেন্দ্রীয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য জমি দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার।
ওয়াকফ বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, ইসলামে যে হেতু ভিত পুজোর প্রচলন নেই, তাই মসজিদ নির্মাণের ভিত তৈরির আগে সে রকম কোনও অনুষ্ঠান পালন করা হবে না। আশা করা যাচ্ছে, ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি অথবা ১৫ অগস্ট ভিত নির্মাণের সূচনা হবে।
প্রকল্প নির্মাণের খরচ সম্পর্কে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বোর্ড। বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের প্রকল্পের কোনও সময় বা ব্যয়ের সীমা থাকে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপর করা হবে।’
মসজিদ চত্বরের মিউজিয়ামের কিউরেটর এবং খাদ্য আর্কাইভের দায়িত্বে থাকা স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ তথা খাদ্য সমালোচক পুষ্পেশ পন্থ জানিয়েছেন, ‘মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিতরে মিউজিয়ামের রূপকার হিসেবে এক হিন্দুকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমি উত্তেজিত বোধ করছি।’