বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা। দেশের কোণায় কোণায় যাচ্ছে এই যাত্রা। পরিসংখ্যান বলছে ৫০দিনে ১০ কোটি মানুষের কাছে গিয়েছে এই যাত্রা। সরকারি তরফে একথা জানানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা গিয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর বীরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঝাড়খণ্ড থেকে এই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা করেন। এই যাত্রার মূল লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের স্কিমগুলি পাওয়ার যোগ্য কোনও মানুষ অথচ তিনি এই স্কিমের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের কাছে এই যাত্রার মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া। এমন মানুষরদের কাছে পৌঁছনর জন্য় এই বিশেষ উদ্যোগ। তবে এবার সেই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কার্যত সাড়া ফেলে দিল।
বারাণসীতে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছিলেন, এই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা আমারও পরীক্ষা। কেন তিনি একথা বললেন?
মোদী বলেছিলেন, এটা আমারও পরীক্ষা। আমি যেখানে যা বলেছিলাম যা আমি করেছি, আমি সেটা আপনাদের কাছ থেকে শুনতে চাই। এটা ঠিকঠাক হয়েছে কি না সেটা জানতে চাই। যে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল সেটা করা হয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।
সাংসদরাও যেন তাঁদের নির্দিষ্ট সংসদ এলাকায় এই যাত্রায় অংশ নেন। তিনি জানিয়েছিলেন, একজন সাংসদ হিসাবে তিনি এই যাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এই শহরের সেবক হিসাবে তিনি অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, জনতা যেন সরকারের কাছে ছুটে না আসেন। জনতার কাছে যেতে হবে সরকারকে।
মোদী বলেছিলেন, বিভিন্ন সরকার আসে আর যায়। লম্বা চওড়া প্রতিশ্রুতি দেয়। গরিবি হঠাও বলে স্লোগান দেওয়া হয়। তিনি বলেন, গরিবি হঠাও স্লোগানটা এক জিনিস। কিন্তু একজন গরিব মানুষ বর্তমানে তাঁর বাড়িতে গ্য়াস সিলিন্ডার রাখতে পারেন। আজ গরিব আর ধনীর মধ্যে ফারাকটা দূর হয়ে গিয়েছে। তিনি পাকা বাড়িতে বাস করেন। তাদের বাচ্চারাও আজ বন্ধুদের সঙ্গে একই সঙ্গে উঠে দাঁড়ান।
সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে একের পর এক স্কিমের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার মাধ্যমে সেই সমস্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা বলা হয় যাঁরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও স্কিমের সুবিধা ঠিকঠাক পান না।