দেবব্রত মোহান্তি, ভুবনেশ্বর
ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক যোগ দিলেন বিজু জনতা দলে। মাস খানেক আগেই অবসর নিয়েছিলেন আইএএস ভিকে পান্ডিয়ান। বয়স ৪৯ বছর। প্রায় ১ দশক ধরে তিনি নবীন পট্টনায়েকের কার্যত ডানহাত ছিলেন। পট্টনায়েকের হাত থেকেই তিনি দলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। পান্ডিয়ান জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের নেতৃত্বে আমি ওড়িশার মানুষের জন্য় কাজ করে যাব। একেবারে স্বার্থহীনভাবে আমি কাজ করে যাব।
তামিলনাডুতে জন্মেছিলেন তিনি। প্রাক্তন আমলা বিজু জনতা দলে যোগ দেওয়ার আগে আইএএস থেকে পদত্যাগ করেছেন। রাজ্য সরকারের একাধিক নীতির অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি।
এবার একেবারে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হলেন তিনি। তবে দলে তাঁর পদ কী হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে সূত্রের খবর, তাঁকে কার্যকরী সভাপতির পদ দেওয়া হতে পারে।
পুরীর এমপি পিনাকি মিশ্র জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশা তিনি আগে প্রশাসনের জন্য় কাজ করতেন। এবার তিনি পার্টির জন্য় কাজ করবেন। তাঁর অভিজ্ঞতা দলের কাজে লাগবে। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই বলেন পুরীর এমপি।
বিজেডি নেতা সঞ্জয় দাস বর্মা জানিয়েছেন, পান্ডিয়ানের বিরাট অভিজ্ঞতা দলকে আরও শক্তিশালী করবে।
এদিকে দলে যোগ দিয়েই তিনি দলের কার্যালয় শঙ্খভবনে যান। গঞ্জাম জেলাতেও যান তিনি। সেখানে তিনি একসময়ে জেলাশাসক ছিলেন। পরে ২০১১ সাল থেকে তিনি মুখ্য়মন্ত্রী প্রাইভেট সেক্রেটারি হন।
তিনি আসলে ২০০০ সালের পাঞ্জাব ক্যাডারের আইএএস। পরে ব্যাচমেট সুজাতা রাউতকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি ক্যাডার বদলে ফেলেন। পরে কখনও সহকারি জেলাশাসক, কখনও আবার জেলা শাসকের দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর কর্মদক্ষতা দেখে তাঁকে মুখ্য়মন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্রেটারি করা হয়েছিল। মুখ্য়মন্ত্রী অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। নানা সংকটে তিনি এগিয়ে আসতেন। তাঁর অফিসকে কার্যত ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হিসাবে দেখা হত। এবছর তিনি সরকারি খরচে রাজ্যের ৩০টি জেলায় চপারে করে যান। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় বিরোধীরা নানা অভিযোগ তুললেও কাজটা করে যান তিনি।