গত ৩০ জুনের ঘটনা। রাজস্থানের বিকানির থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন দুই তরুণী। একজনের বয়স ১৭ বছর ও অপরজনের বয়স ২০ বছর। ১৭ বছর বয়সি ওই তরুণী শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের ১২ ক্লাসের পড়ুয়া। অন্যদিকে ২০ বছর বয়সি অপর তরুণী ওই স্কুলেরই প্রাক্তন শিক্ষিকা।
এদিকে তাদের এই আচমকা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই রহস্য দানা বাঁধে। ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি ওই শিক্ষিকা ও তার পরিবার তাদের মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে রয়েছে। তবে তাদের এই নিখোঁজ হওয়ার পরে শোরগোল ফেলে দিয়েছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তারা আবার গোটা বিষয়টিকে লাভ জেহাদের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাদের দাবি, ১৭ বছর বয়সি ওই নাবালিকা হিন্দু ধর্মের। অন্য়দিকে ওই শিক্ষিকা মুসলিম ধর্মের। সেক্ষেত্রে ভুল বুঝিয়ে হিন্দু ধর্মের ওই নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে ওই মুসলিম শিক্ষিকা।
এদিকে এনিয়ে একটি ভিডিয়ো মেসেজ সামনে এসেছে। তার সত্যতা যাচাই করে দেখতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেই মেসেজে তারা স্বীকার করছে যে তারা হল সমকামী। একে অপরের প্রতি তাদের ভালোবাসা রয়েছে। এদিকে গত ১ জুলাই বিকানীরের পুলিশ স্টেশনে ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল জোর করে তাদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে।
ওই ভিডিয়ো বার্তায় ঠিক কী বলেছিল ওই ১৭ বছর বয়সি তরুণী?
সেই ভিডিয়ো বার্তায় বলা হয়েছিল, 'আমরা এটা বুঝতে পারছি যে পরিবারের তরফে বলা হচ্ছে যে আমাকে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু আসল বিষয়টি হল আমরা আমাদের নিজেদের ইচ্ছায় ঘর ছেড়েছি। কারণ আমাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এক সঙ্গে ঘর করতে চাই। আমরা দুজনেই সমকামী। সেকারণে অন্য কোনও পুরুষকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।'
ওই ভিডিয়ো বার্তায় পরিবারের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে ওই কিশোরী। সে জানিয়েছে, আমাদের মধ্য়ে কাউকে একজনকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিতে পারে পরিবারের লোকজন। সেকারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
সেই সঙ্গেই সে ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছে, পরিবারের চাপ থেকে বাঁচতে আমরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ আমরা লেসবিয়ান। আমি নিজের ইচ্ছায় ওর সঙ্গে ঘর ছাড়ছি। সে আমাকে চাপ দেয়নি। এই ভিডিয়ো করার জন্যও বলেনি। তবে এনিয়ে যাতে কোনও ভুলবোঝাবুঝি না থাকে সেকারণেই এই ভিডিয়ো।