ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি সংস্থায় হিজাব পরার ক্ষেত্রে কর্মচারীদের নিষেধ করা যেতে পারে। ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে যে পোশাক মাথা ঢেকে পরার রেওয়াজ রয়েছে সেটা বন্ধ করা যেতে পারে। এদিকে এই হিজাব পরা নিয়ে ইউরোপের দেশগুলিতে বছরের পর বছর ধরে নানা বিতর্ক। তার মধ্য়েই সামনে এল এই রায়।
ইস্টার্ন বেলজিয়ান মিউনিসিপ্যালিটির এক মহিলা কর্মী আদালতে জানিয়েছিলেন তাকে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যাতে তিনি মাথায় হিজাব না পরেন। ওই পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কর্মীদের নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে হবে। তাদের পোশাকে এমন কিছুকে সামনে আনাটা ঠিক হবে না যাতে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে বোঝা যায়। এরপরই আদালতে যান ওই মহিলা। তাঁর দাবি তাঁর ধর্মাচারণের অধিকারকে খর্ব করা হচ্ছে।
এদিকে কর্মস্থলে হিজাব পরার কতটা যৌক্তিকতা রয়েছে তা নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নানা বিতর্ক রয়েছে। তবে রয়টার্সের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এনিয়ে কড়া নীতি আনা দরকার। যাতে কর্মক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় থাকে সেটা দেখা দরকার। এমন কোনও পোশাক পরা উচিত নয় যাতে ওই ব্যক্তির ধর্মীয় বিশ্বাসটা সামনে আসে। এরপরই এনিয়ে কড়া রায় দেয় আদালত।
আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যেখানে যেটা প্রয়োজন সেই অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এই যে মনোভাব এটা ধারাবাহিকভাবে রক্ষা করা দরকার বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আদালতের তরফে। শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি সংস্থায় হিজাব পরার ক্ষেত্রে নিষেধ করা যেতে পারে। ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে যে পোশাক মাথায় পরার রেওয়াজ রয়েছে সেটা বন্ধ করা যেতে পারে। কারণ সরকারি সংস্থা কোনও বিশেষ ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন হোক এটা প্রত্য়াশিত নয়।