ইন্ডিয়া লেখা হবে নাকি ভারত লেখা হবে তা নিয়ে নানা বিতর্ক। তবে এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ইন্ডিয়া নাম নিয়ে যখন রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে, তখনই এনিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরেই এই ভারত নাকি ইন্ডিয়া হবে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। কিন্তু এর মধ্য়ে ফারাকটা কোথায়? ভারত আর ইন্ডিয়ার মধ্য়ে কোনও ফারাক নেই। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে ভারত হল দেশের নাম। আর ঔপনিবেশিক সময়ে ইংরেজরা এই দেশকে ইন্ডিয়া বলে ডাকত। আর আমাদের সংবিধানে ভারত আর ইন্ডিয়া দুটি নামকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ভারত হল একটা ভারতীয় নাম। সভ্যতার শুরু থেকেই এই নামেই পরিচিত। কিন্তু কিছুদিন হল কিছু হতাশ মানুষজন এনিয়ে বিতর্ক শুরু করেছেন। এটা নিয়ে যেন তাঁদের মধ্য়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি এনসিইআরটি সমস্ত পাঠ্যপুস্তকে ইন্ডিয়া নাম বদলে ভারত করার পক্ষে সায় দিয়েছে। এদিকে এরপরই এনিয়ে একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল এনিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে। এটাকে রাজনৈতিক চমক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে সামগ্রিক বিতর্ক নিয়ে গুজরাটে উপাচার্যদের বৈঠকে এনিয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।
এদিকে এনসিআরটির সোশ্য়াল সায়েন্স প্যানেল চেয়ারপার্সন সিআই আইজাক জানিয়েছেন, সাত সদস্যের প্যানেল সর্বসম্মতিক্রমে এই মতামতের উপর সায় দিয়েছে। তবে এনসিআরটির চেয়ারপার্সন দীনেশ সাকলানি গোটা বিষয়টি পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, প্যানেলের সুপারিশ মেনে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। এনসিইআরটি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিল, এখনই এনিয়ে মন্তব্য করার মতো জায়গা নেই।
এদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, ভাদনগরে জন্মেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বহু বছর আগে চিন থেকে কেন হিউয়েন সাং এখানে এসেছিলেন? আসলে ভারত সম্পর্কে জানতে বুঝতে তিনি এসেছিলেন তিনি। এটাই ভারতের ঐতিহ্য।