সিনিয়র সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সার্ভেয়র মহেশ কুমার। আর কে পুরমের বাসিন্দা। খুন করা হয়েছিল তাঁকে। এবার একটা হোয়াটস অ্য়াপ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তার খুনের বিষয়টি সামনে এল। খবর লাইভ হিন্দুস্তান সূত্রে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই সার্ভেয়ারের দেহটি মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল। এরপর হোয়াটস অ্যাপে স্ট্যাটাস দেন লোন মিটিয়ে দিচ্ছি। আমি চলে যাচ্ছি। পরিবারকে কেউ বিরক্ত করো না।
এরপরই কেমন যেন সন্দেহ হয় নিহতের দাদার। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। সে খুনের কথা স্বীকার করেছে।
কিন্তু কীভাবে এই খুনের কিনারা করল পুলিশ?
অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, গত ২৮ অগস্ট সে মহেশকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। লোনের ৯ লাখ টাকা নিয়ে কথা বলার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
আর সেখানেই পিটিয়ে খুন করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ২৯ অগস্ট গাড়িতে দেহ চাপিয়ে সেক্টর ২ এর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে আসা হয়। এরপর মাটি খুঁড়ে সেই দেহ পুঁতে দেওয়া হয়। এদিকে সমীক্ষকের গাড়ি পার্কিং লটে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু কেন?
মহেশের দাদাকে অভিযুক্ত আনিশ জানায়, ২৮ অগস্ট তার বাড়িতে এসেছিল মহেশ। এরপর গাড়িটা ফেলে চলে যায়। এদিকে মহেশের ফোন খুলে সেখানকার হোয়াটস অ্যাপ স্ট্যাটাসে আনিস লিখেছিল, আমার ৬৫ লাখের লোন রয়েছে। আমি নিজেই চলে যাচ্ছি। সবার টাকা ফেরৎ দেব। আমার পরিবারকে হেনস্থা করো না। এরপরই মহেশের দাদার সন্দেহ বাড়তে থাকে।
আসলে পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই মহেশের অন্তর্ধান নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিল আনিস। মানে মহেশই যেন স্ট্যাটাস দিয়েছে এটা বোঝাতে চেয়েছিল সে। কিন্তু বাস্তবে সেটা হল না। ধরা পড়ে গেল আনিস।
কিন্তু খুনের কারণটা কী?
আসলে আনিসের বান্ধবীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়েছিল মহেশ ।এটা নিয়ে তাদের মধ্য়ে বিবাদ ছিল। আবার আনিসের কাছ থেকে ৯ লাখ লোন নিয়েছিল সে। সেকারণেই সে খুন করে মহেশকে।