ওমিক্রন ইস্যুতে গোটা ভারত সহ ত্রস্ত বিশ্ব। দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে ফেলার ক্ষমতাধারী এই করোনা ভ্যারিয়েন্টের জেরে একাধিক কোভিড বিধি পালিত হচ্ছে দেশে। ওমিক্রনের উপসর্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বিস্তর। এই পরিস্থিতিতে হু-এর বিশিষ্ট বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিষয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন।
1/6 বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সাম্প্রতিক এক টুইটে বেশ কয়েকটি তথ্য তুলে ধরেছেন। দেশ জুড়ে যখন ওমিক্রন আক্রমণ ঘিরে ত্রাস চলছে, তখন সৌম্য স্বামীনাথন বলছেন, ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ডেল্টার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে পারে। তবে, এক্ষেত্রেও রয়েছে একটি শর্ত।
2/6 বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলছেন, করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে, ওমিক্রন আক্রান্তরা করোনার অপর ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারেন। তবে ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকলে তা সম্ভবপর নয়। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
3/6 নিজের টুইটে সৌম্য স্বামীনাথন স্পষ্ট বলেছেন, 'কয়েকজন যেমন পরামর্শ দিচ্ছেন, যে সংক্রমণই একমাত্র ভ্যাকসিনের বিকল্প, বিষয়টি তা নয়।' উল্লেখ্য, এর আগে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, ভ্যাকসিন নিলেই একমাত্র করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়াই করা যাবে।(ফাইল ছবি)
4/6 ওই গবেষণা অনুযায়ী, দেখা গিয়েছে, যাঁরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি,তাঁদের যেভাবে ওমিক্রন সংক্রমিত করছে, প্রথমের দিকে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদেরও একইভাবে হামলা করছে এই ভ্যারিয়েন্ট। তবে শেষের দিকে দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিন যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের ভাইরাস দমনের ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি।(ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
5/6 সাম্প্রতিক ওই গবেষণা বলছে, যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ওমিক্রন ও ডেল্টা দুটি ভ্যারিয়েন্ট দমনের ক্ষমতাই সমান। ফলে ডেল্টার হামা নতুন করে রোখার জন্য ওমিক্রনের সংক্রমণ একমাত্র রাস্তা একেবারেই নয়। বলছে গবেষণা। ওমিক্রন ও ডেল্টা দুটি ভ্যারিয়েন্টই কাবু হতে পারে ভ্যাকসিনেটেড হলে।ফাইল ছবি : পিটিআই
6/6 উল্লেখ্য, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮২ জন। দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৮৮৯১ জন। দেশের ২৯ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন ত্রাস ভয়াবহ আকার নিয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)