ইউটিউবার কামিয়া জানি। বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি ওড়িশার পুরীতে জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। আর তারপরেই তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধে এই ঘটনায়। বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে এনিয়ে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, যে মানুষ গো মাংসের পক্ষে কথা বলেন তিনি কীভাবে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ করেন? ওড়িশার বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারি যতীন মোহান্তি ওই ইউ টিউবারের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন।
তাঁর মতে ওই ব্যক্তি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন।আসলে ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছিল। সেখানে দেখা যায় ওই ইউটিউবার প্রাক্তন আমলা তথা বর্তমানে রাজনীতিবিদ ভিকে পান্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি মহাপ্রসাদের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলছেন। হেরিটেজ করিডোর নিয়ে কথা বলছেন।
বিজেপির দাবি মন্দির প্রাঙ্গনে ভিডিয়ো নিয়ে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু ওই ইউটিউবার সেই নিয়ম মানেননি।
বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, বিজেডি লিডার ভিকে পান্ডিয়ার সঙ্গে মন্দির প্রাঙ্গনে ইউটিউবারকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহা প্রসাদের স্বাদ নিয়ে তাঁরা কথা বলছিলেন। এর আগে ওই কামিয়া জানি গো মাংসের স্বাদ নিয়ে কথা বলেছিলেন। কিন্তু গো মাংস ভক্ষণকারীদের তো জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করা বন্ধ। যদি ওদের গ্রেফতার করা না হয় তবে আমরা আদালতে যাব।
এদিকে বিতর্ক শুরু হতেই জানি ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, ভারতীয় হিসাবে ভারতের সংস্কৃতি ও হেরিটেজকে তুলে ধরতে চাই বিশ্বের কাছে। আমি সমস্ত জ্যোতির্লিঙ্গ ও চারধাম গিয়েছি। কিন্তু সংবাদপত্রে আমার জগন্নাথ মন্দির দর্শন নিয়ে অবাক করা লেখা বেরিয়েছে। তবে আমি বলে দিতে চাই আমি কখনও গো মাংস খাইনি। জয় জগন্নাথ।
তবে শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, একটি রাজনৈতিক দল অভিযোগ করেছেন একজন ইউটিউবার ক্যামেরা নিয়ে মন্দিরে গিয়েছিলেন। এটা পুরো ভিত্তিহীন। তাদের কাছে প্রমাণ থাকলে আমাদের দিন। আমরা তদন্ত করব।
তবে বিজেডির দাবি, কামিয়া জানি রাধা বল্লভ মন্দিরে মহাপ্রসাদ এনেছিলেন। মন্দির প্রাঙ্গনের ভেতরে নয়।