আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে সম্ভবত আসবেন না চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। এর আগে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন না আসার কথা বলেছিলেন। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রের মাধ্যমে এই কথা জানিয়েছে। চিন স্থিত এক ভারতীয় কূটনীতিবিদ ও আরেক দেশের এক কর্তাব্যক্তির সূত্র থেকে এটা জানা গিয়েছে যে সম্ভবত চিনের প্রিমিয়র লি কিয়াং প্রতিনিধিত্ব করবেন জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে। এখনও সরকারি ভাবে এই নিয়ে চিন ও ভারতের তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি।
সারা বিশ্বের নজর এই জি২০ সম্মেলনের ওপর। ইতিমধ্যেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আসার কথা জানিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভাবা হয়েছিল যে ফের মুখোমুখি হবেন শি জিনপিং ও বাইডেন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। গতবছর বালিতে জি-২০ সম্মলেন দেখা হয়েছিল তাঁদের। তারপর থেকে যদিও বিশেষ উন্নতি হয়নি দুই দেশের সম্পর্কে। তাই এখানে ফের কথা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় সূত্র জানিয়েছেন যে চিনের তরফ থেকে আগেই তাদের এই সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে কেন শি জিনপিং আসবেন না সেটা কেউ জানে না। গত সপ্তাহেই ব্রিকস সামিটে চিন ও ভারতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্টভাবে শি জিনপিংকে জানিয়ে দেন যে লাদাখে শান্তি ফেরাতে দুই দেশকেই তৎপর হতে হবে। আগের পরিস্থিতি ফেরাতে চিনের কি দায়িত্ব সেটাও বলে দেন তিনি। কিন্তু তারপরেই চিন নিজেদের ম্যাপে আকসাই চিন ও অরুণাচলকে অন্তর্ভুক্ত করে। সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। তারপর বেজিং বলেছে যে এটা রুটিন বিষয়, অত এটা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।
সবমিলিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গালওয়ান পরবর্তী সময় সহজ হয়ে ওঠেনি এখনও। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জি২০ সম্মেলেন শি জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। প্রসঙ্গত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে দফায় দফায় বিভিন্ন মন্ত্রকের বৈঠক হচ্ছে দিল্লিতে। সেখানে অনেক সময়ই বাকবিতণ্ডা হচ্ছে যৌথ বিবৃতি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে। কোনও ভাবে ইউক্রেন প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু থাকলেই বাধা দিচ্ছে রাশিয়া ও চিন। এরপর নভেম্বর মাসে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকনমিক কাউন্সিলের বৈঠক আছে। সেখানে আমেরিকা ও চিনের রাষ্ট্রনেতারা মুখোমুখি হন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে।