বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 6th Pay Commission: ডিএ ইস্যুতে এবার সরকারকেই চাপে ফেললেন তৃণমূল নেতা, তুললেন বিস্ফোরক দাবি
6th Pay Commission: ডিএ ইস্যুতে এবার সরকারকেই চাপে ফেললেন তৃণমূল নেতা, তুললেন বিস্ফোরক দাবি Updated: 21 Feb 2023, 08:41 AM IST Abhijit Chowdhury রাজ্য বাজেটে তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করে কেন্দ্রকে পালটা তোপ দাগা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। মনে করা হয়েছিল, আপাতত ডিএ নিয়ে আন্দোলনের আঁচ কিছুটা হলে কমবে এতে। তবে ঘটেছে ঠিক তার বিপরীত। রাজ্যের 'ভিক্ষা' নিতে অস্বীকার করা কর্মচারীরা আরও তীব্র আন্দোলন শুরু করেছেন। এরই মধ্যে বিস্ফোরক তৃণমূলেরই সরকারি কর্মচারী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী। 1/5 সরকারকে চাপে ফেলে তৃণমূলেরই সরকারি কর্মচারী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী এবার দাবি করলেন ডিএ নিয়ে পেশ করা হোক শ্বেতপত্র। তাঁর কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলকে নিয়ে সরকারের আলোচনায় বসা দরকার। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'সরকার তার আর্থিক পরিস্থিতির কথা বলে কতটা ডিএ দিতে পারবে, তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।' 2/5 সোমবার থেকে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছেন। সরকারের অবশ্য দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও অনেক কর্মচারীই গতকাল কাজে যোগ দিয়েও আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। অনেকেই আবার সরকারের 'সার্ভিস ব্রেকে'র হুঁশিয়ারি পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে অফিসে পা রাখেননি। ডিএ আন্দোলনকারীরা এর আগেই আবার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন, হকের ডিএ না মেটালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করবেন না তাঁরা। এৎই মধ্যে এবার তৃণমূল নেতার কথায় আরও অস্বস্তি বাড়ল সরকারেরই। 3/5 বাম জমানায় সরকারি কর্মচারীদের মূল সংগঠন ছিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। তখন তৃণমূলের সংগঠন গড়ার দায়িত্ব পেয়েছিলেন মনোজ। তিনি মহাকরণে কর্মরত ছিলেন তখন। পরে ২০০৭ সালে সেচ ও জলপথ দফতরের প্রশাসনিক আধিকারিক পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরে চাকদহে বসবাস করেন মনোজ। অবসরের পরও দীর্ঘ সময় সংগঠনের পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এহেন মনোজের স্পষ্ট কথা, 'আমার কথায় দল ক্ষুব্ধ হলে হবে। তবে আমি চাই সমস্যা মিটে যাক। সবারই ব্যক্তিগত মত থাকতে পারে।' 4/5 এহেন মনোজ সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাজ্য সরকারের উচিত আন্দোলনকারী কর্মচারীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করা। সরকার নিজের আর্থিক অবস্থা তুলে ধরুক আন্দোলকারী কর্মচারীদের সামনে। তিনি বলেন, 'আলোচনা করলেই ভুল বোঝাবুঝির নিরসন হবে। কতটা ডিএ সরকারি কর্মচারীদের দেওয়া সম্ভব, সেটাও জানাতে পারবে। কিন্তু সেই আলোচনাটাই সরকার করছে না' তিনি বলেন, 'সবাই চায় ডিএ। তবে আমরা এটাও চাই না যে, সরকারকে বিপদে ফেলে দিয়ে ডিএ নেব। সেই কারণেই সরকারের উচিত সকলকে নিয়ে বসা।' 5/5 এদিকে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে সায় নেই মনোজের। তাঁর কথায়, আদালতের রায়ে স্পষ্ট যে ডিএ হকের অধিকার। এটাকে অস্বীকার করার জায়গায় কেউ নেই। এর বিরোধিতা করতে গেলে আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলা চলছে। তাঁর মতে, ১৫ মার্চ তার শুনানি। এখন সকলেরই সেই মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। এদিকে সরকারের প্রতি তাঁর বার্তা, 'রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী তো সরকারি কর্মচারীদের জন্যই সফল। কিন্তু সেই সব প্রকল্প যাঁরা রূপায়িত করছেন, তাঁদেরও তো কিছু দিতে হবে।'