সোমবারই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএ আন্দোলনে সামিল সরকারি কর্মীদের একাধিক ইস্যুতে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর বদলে এবার সরকারি কর্মীরা সরাসরি তাঁর পদত্যাগের দাবি তুললেন। সঙ্গে নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করলেন তাঁরা।
1/5এর আগে গত শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় অপ্রশিক্ষিত ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই ইস্যুর জন্য গতকাল ডিএ আন্দোলনকারীদের দোষারোপ করেন মমতা। তিনি দাবি করেন, ডিএ আন্দোলনকারীদের জন্যই এই শিক্ষকদের চাকরি গেল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ কোনও ভাবেই মানতে নারাজ ডিএ আন্দোলনকারীরা। সরকারি কর্মীদের পালটা তোপ, মমতা অস্তিত্বের সংকটে ভুগছেন বলেই এহেন অভিযোগ করছেন। (PTI)
2/5এদিকে মমতা বন্দ্যোরাধ্যায় গতকাল রাজ্য সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, 'কেন্দ্রীয় চাকরি খুঁজে নিন। সেখানে বেশি বেতন, বেশি ডিএ।' কার্যত তিনি জানিয়ে দেন, কোনও ভাবেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় কর্মীদের সমহারে ডিএ দেওয়া হবে না। মমতা পালটা পূর্বতন বাম সরকারকে তোপ দাগেন। বলেন, 'এর আগে বামেরা ৩৫ শতাংশ হারে ডিএ দিত। আমরা সেটা ১২৬ শতাংশ করেছিলাম।' তিনি আরও দাবি করেন, ষষ্ঠ পে কমিশনের টাকাও দিয়ে দিয়েছে তাঁর সরকার। (PTI)
3/5মমতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বলে দিন যে তিনি আমাদের হকের দাবি মেটাতে পারবেন না। মমতার পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। সরকারি কর্মীরা বলেন, 'আপনি সরকার ছেড়ে দিন। বাংলাবাসী বুঝে নেবে কাকে সেখানে বসাতে হবে।' ডিএ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সরকারের দায় সরকারি কর্মীদের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন মমতা। এই আবহে এই সরকারকে 'ব্যর্থ' আখ্যা দেন তাঁরা। (PTI)
4/5এর আগে গতকাল মমতা শর্তসাপেক্ষে সরকারি কর্মীদের আরও তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন নবান্নর সংবাদ সম্মেলনে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'মহার্ঘ ভাতা কোনও অধিকার নয়, রাজ্য সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে ডিএ। এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের কাছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে রাজ্য সরকারের। সেই টাকা এনে দিলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ আরও তিন শতাংশ বাড়ানো হবে।' তিনি সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আন্দোলন করার বার্তা দেন গতকাল। (PTI)
5/5এদিকে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষকদের চাকরি যাওয়া নিয়ে যা বলেছিলেন, তার জবাবে সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, ' সরকারের অপদার্থতা ও ব্য়র্থতার জন্যই চকরি গিয়েছে এই শিক্ষকদের। এখন সেই বিক্ষোভকে ডিএ আন্দোলনের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটা সস্তার রাজনীতি।' সরকারি কর্মীরা দাবি করেন, সংগ্রামী যৌথমঞ্চ অরাজনৈতক ভাবে লড়াই চলছে। তাঁদের আরও দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরাও তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন বলে তাঁদের বিশ্বাস। (PTI)