বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > KMC Gratuity: মাথায় হাত শতাধিক সরকারি কর্মীর, ডিএ-ডিআর বৃদ্ধি তো দূর, আটকে হকের ২২০ কোটি টাকা
KMC Gratuity: মাথায় হাত শতাধিক সরকারি কর্মীর, ডিএ-ডিআর বৃদ্ধি তো দূর, আটকে হকের ২২০ কোটি টাকা Updated: 07 May 2023, 08:46 AM IST Abhijit Chowdhury কলকাতা পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের গত একবছর ধরে মাথায় হাত। কারণ গ্র্যাচুইটি ও কমিউটেশনের টাকা পাচ্ছেন না তাঁরা। ২০২২ সালের মে মাস থেকেই এই অবস্থা। বিগত এক বছর ধরে হকের টাকা থেকে বঞ্চিত তাঁরা। একদিকে রাজ্যে যখন সরকারি কর্মীদের ডিএ-ডিআর বৃদ্ধির আন্দোলন চলছে, তখন এই অবসরপ্রাপ্তরা কী করবেন জানেন না। 1/5 পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে যারা অবসর নিয়েছেন, এখন তাঁদের গ্র্যাচুইটি ও কমিউটেশনের টাকা মেটানো হচ্ছে। এদিকে ২০২২ সালের মে মাস থেকে ৭০০ কর্মী পুরসভা থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। এই ৭০০ জনের হকের টাকা মেটাতে হলে প্রয়োজন পড়বে ২২০ কোটি। তবে পুরসভার যা আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে কবে এই টাকা মেটানো হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। 2/5 এদিকে অভিযোগ, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই পেনশনের টাকা নিয়মিত পাচ্ছেন না পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। শুধু তাই নয়, পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা তাঁদের বেতনও ঠিক সময়ে পাচ্ছেন না। বিভিন্ন উদ্যানে যেসকল চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা নিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন বেতন ঢোকেনি তাঁদের অ্যাকাউন্টে। দুই মাস আগে এ নিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন তাঁরা। 3/5 এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগেই পুর কমিশনার বিনোদ কুমার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলেন। তাতে সমস্ত বিভাগীয় প্রধানদের উদ্দেশে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কর্মীদের বেতন সময়মতো মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। এরপরেও পুরসভার অনেক চুক্তিভিত্তিক কর্মী সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। 4/5 কলকাতা পুরসভার ক্লার্কস ইউনিয়নের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত দু'বছর ধরে ঠিকাদারদের নিয়মিত টাকা দিচ্ছে না পুরসভা। এই বাবদ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে। এই টাকা পরিশোধ হওয়ার কথা রাজস্ব থেকে। এই পরিস্থিতিতে কর্মী সংগঠনের প্রশ্ন, পুরসভার রাজস্ব আদায়ের টাকা যাচ্ছে কোথায়? 5/5 এদিকে অবসরকালীন বকেয়া টাকা দ্রুত না মেটানো হলে বড়সড় আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলকাতা পুরসভার ক্লার্কস ইউনিয়ন। এদিকে এই গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরসভার অর্থ দফতরের তরফে জানানো হচ্ছে, আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হচ্ছে পুরসভার। এই আবহে বকেয়া মেটাতে সময় লাগছে। এই আবহে ঘাটতি মেটাতে সম্প্রতি পুরসভা পার্কিং ফি বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল। তবে রাজনৈতিক কারণে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছিল। এদিকে সম্পত্তিকর বাবদ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে পুরসভার। এই পরিস্থিতিতে রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কমিশনার। তবে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।