বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Parliament Breach Latest Update: সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই সংসদে ঝাঁপ সাগরদের? 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের' খোঁজে পুলিশ
Parliament Breach Latest Update: সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই সংসদে ঝাঁপ সাগরদের? 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের' খোঁজে পুলিশ Updated: 17 Dec 2023, 09:06 AM IST Abhijit Chowdhury সংসদের অধিবেশন কক্ষে অনধিকারে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় এবার নয়া পথে তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই 'হানা' কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এরই মাঝে গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষে অনুপ্রবেশকারীদের ঝাঁপ দেওয়া কাণ্ডে জানা গিয়েছে আরও নতুন নতুন তথ্য। 1/6 জেরার মুখে নাকি ললিত তাঁর আসল পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেই শিক্ষকতা করা ললিত নাকি দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে এই সংসদ হানার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। ঘটনায় ধৃতরা নাকি অনেকবারই একে অপরের সঙ্গে দেখাও করেছিল এর আগে। তাদের পরিকল্পনা নাকি ছিল, দেশ জুড়ে অরাজকতা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। এদিকে সাগর, মনোরঞ্জন, নীলম এবং অমলকে ইতিমধ্যেই ইউএপিএ-র ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে ললিত ঝাঁকে জেরার জন্য ৭ দিনের হেফাজতে পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। 2/6 তদন্তকারীরা জানিয়েছে, লোকসভায় হলুদ রঙের ধোঁয়া ছড়িয়ে আদতে সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিল ললিত, সাগররা। এরপরে গিয়ে একটি রাজনৈতিক দল খোলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। নিজেদের মতামত ব্যক্ত করার এটাই একমাত্র উপায় হিসেবে মনে করেছিল তারা। তবে এর আগে অন্য এক উপায়ে দেশের মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণের কথা ভেবেছিল তারা। 3/6 এদিকে সাগর নাকি জেরার মুখে পুলিশকে জানিয়েছে, প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, সংসদের বাইরে তারা নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেবে। পরে অবশ্য সেই পরিকল্পনা থেকে তারা সরে আসে। কারণ, অনলাইনে জ্বালানি জেলের অর্ডার দিলেও সময়ে পেমেন্ট করতে পারেনি তারা। তাই অন্য কিছু ভাবতে হয় তাদের। সাগর শর্মা নাকি পুলিশকে বলে, 'আমাদের রাজনৈতিক মতামত বর্তমানের কোনও দলের সঙ্গেই মেলে না। এই কারণেই আলাদা রাজনৈতিক দল চালুর পরিকল্পনা করেছিলাম আমরা। তাই আলাদা রাজনৈতিক দলের জন্য মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ জরুরি ছিল।' 4/6 এই সবের মাঝেই পুলিশ সন্দেহ করছে, কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীর পরিকল্পনায় ললিত, সাগররা এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। এদিকে তদন্তকারীরা দাবি করেছে, এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড হল ললিত। তবে তার নেপথ্যে আর কে আছে বা থাকতে পারে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এমনকী বাকি ধৃতদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়েও ললিতকে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। এছাড়া দিল্লিতে ৪-৫ দিন তারা যে হোটেলে ছিল, সেখানে ললিতকে নিয়ে যাওয়া হবে। 5/6 এদিকে এই হামলার জন্যে তারা কোথা থেকে অর্থ পেয়েছিল, তাও জানতে চাওয়া হবে ললিতের কাছে। এছাড়া সংসদে এই 'হামলার' পুনরাবৃত্তি ঘটানোর জন্যে অনুমতি চাইবে তদন্তকারীরা। এদিকে পুলিশ জেনেছে, লখনউয়ের এক মুচি জুতোর শুকতলায় আড়াই ইঞ্চি গভীর একটি গর্ত করে দিয়েছিল। এছাড়া জুতোর সোলে আলগা রবার লাগিয়ে তা আরও মোটা করা হয়েছি। সেই জুতো পরেই সাগর ঢুকেছিল সংসদ ভবনে। সেই আড়াই ইঞ্চি গর্তেই স্মোক ক্যানিস্টার ছিল। 6/6 এই সবের মাঝেই ললিতের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এমন আরও এক যুবকের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামে ওই সংগঠেনর সদস্য ছিলেন সায়ন পাল নামক কলকাতার আরও এক যুবক। তবে সায়নের দাবি, ললিতকে তিনি চেনেন না। এদিকে কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, গত জুন মাসে কলকাতায় এক মিছিল করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল ললিত। সেই সময় সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নাম দেওয়া হয়েছিল নীলাক্ষ আইচ ও সায়ন পালের।