বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Ashwini Vaishnaw : ওড়িশার দুর্ঘটনা স্থলে ৫১ ঘণ্টা রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব ও তাঁর টিম! কীভাবে মোকাবিলা চলল কঠিন পরিস্থিতির
Ashwini Vaishnaw : ওড়িশার দুর্ঘটনা স্থলে ৫১ ঘণ্টা রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব ও তাঁর টিম! কীভাবে মোকাবিলা চলল কঠিন পরিস্থিতির Updated: 07 Jun 2023, 07:48 PM IST Sritama Mitra রেলমন্ত্রী এককালে আইএএস অফিসার হিসাবে বালাসোর কালেক্টর হিসাবে ছিলেন কর্মরত। ১৯৯৯ সালে তখন সুপার সাইক্লোনের ত্রাণ সমেত ক্ষতির মোকাবিলায় নেমেছিলেন। এবারও বালাসোর। এবার আরও এক দুর্ঘটনা। 1/5 গত সপ্তাহের শুক্রবার রাতে ওড়িশার রেল দুর্ঘটনায় শতাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে ছিল। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। ঘটনার খবর পেতেই সেখানে ছুটে যান দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। এরপর থেকে তিনি ও তাঁর টিম কার্যত ওড়িশায় ঘটনাস্থলের মাটি ছেড়ে যাননি। ২৩০০ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে কাজ দেখাশোনা করেন আইআইটি কানপুরের প্রাক্তন ছাত্র তথা প্রাক্তন আইএএস অফিসার, দেশের বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। (ANI Photo) 2/5 তাঁর সঙ্গে ছিলেন ২৩০০ কর্মী, চ্যালেঞ্জ ছিল দুটি ভাঙা লাইনকে সংযুক্ত করার, চ্যালেঞ্জ ছিল ভেঙে পড়া ট্রেন সরিয়ে বাকি আটকে পড়া মানুষদের রক্ষা। চ্যালেঞ্জের পাহাড় যেন শেষ হচ্ছিল না। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর মুহূর্ত থেকে গ্রাউন্ডে ছিলেন রেলমন্ত্রী। গোটা উদ্ধার কাজ নিজে গ্রাউন্ডে থেকে তদারকি করছিলেন তিনি। রেলসূত্রে এক অফিসার বলছেন, কী কী পরিকল্পনায় উদ্ধার কাজ এগোবে, আর কী কী ভাবে পরিস্থিতিতে কোন পদক্ষেপ হবে, তা রেলমন্তরীই নির্দেশ দেন, আর এই ক্ষেত্রেও তাইই হয়েছিল। (ANI Photo) 3/5 কীভাবে হয়েছে এই উদ্ধার কাজ? উত্তরে জানা যাচ্ছে, প্রথম থেকেই রেলের ফোকাসে ছিল মানুষের প্রাণ রক্ষা করা। সবচেয়ে বেশি কর্মশক্তি দিয়ে খুব কম সময়ে কীভাবে উদ্ধার কাজ ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা যায়, তার লক্ষ্যে হয়েছে কাজ। সমস্ত আহত যাতে চিকিৎসা পান, তার চেষ্টা করেছে রেল। এছাড়াও ফের ওই লাইনে তাড়াতাড়ি ট্রেন চলাচল করানোও ছিল রেলের লক্ষ্যে। রেল সূত্র বলছে, ‘৭০ জন কর্মী ছিলেন গ্রাউন্ডে।’ তৈরি হয়েছে ৮ টি টিম। (ANI Photo) 4/5 জানা যায়, প্রতিটি টিমের নেতৃত্বে ছিলেন একজন করে সিনিয়ার সেকশন ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর ওপর ছিলেন ডিআরএম, ও জিএম। তাঁদের মাথায় ছিলেন রেল বোর্ডের অফিসাররা। রেল মন্ত্রকের অফিসাররাও ছিলেন গ্রাউন্ডে। দেখাশোনা করেন, প্রযুক্তি ও সারাইয়ের কাজ। এদিকে, আহতদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন কটকের হাসপাতালে, আর ডিএইচ ছিলেন ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে। নির্দেশ খুব স্পষ্ট ছিল, শুধু উদ্ধার ন, ত্রাণও জরুরি। (ANI Photo) 5/5 এদিকে গ্রাউন্ডে কাজ কীভাবে এগোচ্ছে তা ৪ টি ক্যামেরায় বন্দি করে তথ্য পাঠানো হচ্ছিল রেলের অফিসার ও স্বয়ং মন্ত্রীর কাছে। প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী এককালে আইএএস অফিসার হিসাবে বালাসোর কালেক্টর হিসাবে ছিলেন কর্মরত। ১৯৯৯ সালে তখন সুপার সাইক্লোনের ত্রাণ সমেত ক্ষতির মোকাবিলায় নেমেছিলেন। এবারও বালাসোর। এবার আরও এক দুর্ঘটনা। এবারের উদ্ধারের কাজে সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল ক্লান্তি। প্রবল গরমে কেউ যেন অসুস্থ না হন,তাও দেখভাল করা হয়েছে রেলের তরফে। সকলে যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে কাজে নামেন তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টানা ৫১ ঘণ্টা গ্রাউন্ডে ছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। (PTI Photo) (PTI06_03_2023_000317B)