দেশে আবারও উর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের গ্রাফ। ক্রমশ করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় স্রোতের (সেকেন্ড ওয়েভ) আশঙ্কা বাড়ছে। সেই পরিস্থিতিতে বুধবার দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে কড়া হাতে করোনা রোখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কী বলেছেন তিনি, জেনে নিন -
1/5 করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় স্রোত (সেকেন্ড ওয়েভ) রোখার জন্য সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, অবিলম্বে করোনার দ্বিতীয় স্রোত রুখতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় স্তরে কনটেনমেন্ট জোন তৈরিও করতে পারে জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে পাঁচটি পরিকল্পনাও জানিয়েছেন। (ফাইল ছবি, সৌজন্য রয়টার্স)
2/5 'দাওয়াই ভি, কড়াই ভি' স্লোগানে জোর দিয়ে মোদী জানান, রাজ্যগুলিকে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা (আরটি-পিসিআর) বাড়াতে হবে। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে যত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা প্রদান করতে হবে। টিকার অপচয় একেবারে কমিয়ে আনতে হবে। (ছবি সৌজন্য পিটিআই)
3/5 মোদী বলেন, 'সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার পর কয়েকটি রাজ্য করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়ছে। মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে। দেশের ৭০ টি জেলায়, ১৫০ শতাংশের বেশি নয়া করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। আমরা যদি দ্রুত সেকেন্ড ওয়েভকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তাহলে সমস্যার মুখে পড়তে হবে।' (ফাইল ছবি)
4/5 মোদী বলেন, 'কয়েকটি রাজ্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'এখন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির কয়েকটি শহরে করোনার প্রভাব পড়ছে। যদি তা ভারতের গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে সেই পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে আমরা সমস্যা পড়তে পারি।' (ছবি সৌজন্য এএনআই)
5/5 বৈঠকে যোগ দেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরিবর্তে বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকায় তিনি বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। আরও বেশি পরিমাণে করোনাভাইরাস টিকা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। (ফাইল ছবি)