সপ্তাহে মোট ৪ দিন কাজ করতে হবে। ৩ দিন ছুটি। তাতে কি কাজের মান বাড়বে? কর্মীদের শান্তি আর কাজের ইচ্ছা বাড়বে? এটি দেখার জন্যই ৭০টি সংস্থা মিলে এই উদ্যোগ নিল।
1/9সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি। এতে কি কর্মীদের মন ভালো থাকে? এতে কি কাজের মানের উন্নতি হয়? এই ধরনের অনেক প্রশ্নই দীর্ঘ দিন ধরে উঠছে। বিশেষ করে করোনাকালে এটি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
2/9অনেক বহুজাতিক সংস্থাই এই বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আলাদা আলাদা ভাবে কিছু কোম্পানি এই উদ্যোগ নিলেও, এতে আদৌ কোনও লাভ হবে কি না, তা নিয়ে কোনও প্রমাণিত নথি নেই। সেই কারণেই এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হল হালে।
3/9সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ৭০টি কোম্পানি একযোগে এই সিদ্ধান্ত নিল। তারা সব মিলিয়ে ৩৩০০ কর্মীর জন্য এই ব্যবস্থা করল। এর ফলে কর্মীরা এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন করে ছুটি পাবেন। ৬ মাস পরীক্ষামূলকভাবে এটি চলবে। তার পরে কোনও লাভ হচ্ছে কি না দেখে, ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
4/9কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং বস্টন কলেজের যৌথ উদ্যোগে এই ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এটি আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে বলেও জানা গিয়েছে।
5/9এর ফলে কর্মীদের ক্লান্তি কতটা লাঘব হবে, তাঁদের শান্তি কতটা বাড়বে, স্বাস্থ্যের কতটা উন্নতি হবে— এগুলি সবই দেখা হবে। এর পাশাপাশি কাজের মানেও উন্নতি হচ্ছে কি না, তাও দেখবেন গবেষকরা। এমনই বলেছেন বস্টন কলেজের এক গবেষক।
6/9এর আগে আইসল্যান্ডে এভাবে সপ্তাহে চার দিন কাজের নিয়ম চালু করা হয়েছিল। তখন দেখা গিয়েছিল, কাজের মানের বিশেষ হ্রাস হয়নি।
7/9চলতি বছরের শেষ থেকে স্পেন এবং স্কটল্যান্ডেও সরকারি উদ্যোগে এই নিয়ম চালু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আরও বহু দেশও এই পথেই হাঁটবে বলে আন্দাজ।
8/9কাজের পাশাপাশি মনখুলে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালে বা মন ভালো রাখলে কর্মীদের কাজের মান বাড়ে। এমনই বলছে সমীক্ষা। আর সেই কারণেই এমন উদ্যোগ।
9/9ভারত বা উপমহাদেশের অন্য দেশগুলিতেও কি এমন হতে পারে? বহু বেসরকারি সংস্থা এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে শুরু করেছে। এমনই শোনা যাচ্ছে।