শুভব্রত মুখার্জি: চলতি জাতীয় সিনিয়র মহিলা টি-২০ লিগের নক আউট পর্বে পৌঁছে গেল বাংলা দল। সৌজন্যে অবশ্যই বাংলার অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা। এদিন ব্যাট এবং বল হাতে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেন দীপ্তি শর্মা। বলা ভালো একার হাতেই বাংলা দলকে ম্যাচ জেতান দীপ্তি শর্মা। আর দীপ্তির সৌজন্যেই এদিন ম্যাচ জিতে নক আউট পর্বের টিকিট নিশ্চিত করতে সমর্থ হয় বাংলা দল।
এদিন পন্ডিচেরির মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। সেই ম্যাচেই পন্ডিচেরিকে কার্যত দুরমুশ করে ম্যাচ জিতে গেল তারা। ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিল বাংলা দল। এদিন বল হাতে দীপ্তি শর্মাকে খেলতে গিয়ে কালঘাম ছুটে গেল পন্ডিচেরি ব্যাটারদের। তাদের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড এদিন দীপ্তি ভেঙে দেওয়ার ফলে আর কামব্যাক করা সম্ভব হয়নি পন্ডিচেরির পক্ষে। এদিন নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৭ রান করতে সমর্থ হয় পন্ডিচেরি দল।
বল হাতে দীপ্তি ৪ ওভার বল করে দেন মাত্র ১৪ রান। তুলে নেন চারটি উইকেটও। ফলে ১০০ রানও করতে পারেনি পন্ডিচেরি দল। জয়ের জন্য ৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১.৪ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা দল। সৌজন্যে এবার ব্যাটার দীপ্তি শর্মা। মাত্র ৩৪ বলে খেললেন ৪৪ রানের একটি মারকাটারি ইনিংস। ইনিংস শেষে অপরাজিত থাকেন তিনি। যার ফলে কোনরকম কোনও কষ্ট ছাড়াই হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতে যায় বাংলা দল। ম্যাচে ৫০ বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচ জিতে যায় বাংলা। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ও স্বাভাবিকভাবেই পেয়েছেন দীপ্তি শর্মা। দীপ্তির অপর ওপেনিং পার্টনার মিতা পাল এদিন ৩৬ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। উল্লেখ্য বাংলা মহিলা দল তাদের প্রথম ম্যাচে মুম্বইকে ছয় রানে হারিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে সৌরাষ্ট্রকে হারায় তারা ৭ উইকেটে। আর তৃতীয় ম্যাচে পন্ডিচেরিকে হারিয়ে বাংলা নিশ্চিত করল নক আউট পর্যায়ে যাওয়া।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।