জোরালো ধাক্কা লাল-হলুদ শিবিরে। ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার স্বপ্ন এবারের মতো ভেঙে যেতে চলেছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আয়োজক সংস্থা ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড শুক্রবারের বৈঠকে নতুন মরশুমে দল সংখ্যা না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুতরাং, চাইলেও আইএসএলের বৃত্তে ঢুকে পড়া সম্ভব হবে না ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে।
এফএসডিএলের তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী নভেম্বরে শুরু হবে আইএসএলের পরবর্তী মরশুম। চলবে মার্চ পর্যন্ত। করোনা মহামারির জন্য এবার গোয়া অথবা কেরলের মধ্যে যে কোনও একটি রাজ্যে খেলা হবে টুর্নামেন্ট। দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে গোয়া। আয়োজক সংস্থার তরফে এটাও ঘোষণা করা হয়েছে যে, আগামী ৭ অগস্ট সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ।
বৈঠকের শেষে এও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, ১০ দলের টুর্নামেন্ট খেলা হবে ধরে নিয়ে ইতিমধ্যে সূচিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। ৩১ অগস্ট ঘোষিত হতে পারে সূচি। যার অর্থ, ইস্টবেঙ্গলের জন্য কোনও রাস্তাই আর খোলা থাকছে না।
এফএসডিএলের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র মারফৎ সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানতে পেরেছে যে, এপ্রিল পর্যন্ত সময় ছিল ইস্টবেঙ্গলের হাতে। এপ্রিলের পরেই এবছর আইএসএল খেলার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যায় লাল-হলুদ শিবিরের।
যদিও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অজানা কোনও কারণে বরাবর দাবি করে এসেছেন যে, তাঁদের এবারই আইএসএলে দেখা যেতে চলেছে। এই বিষয়ে তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থও হন। মুখ্যমন্ত্রী ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল প্যাটেলকে অনুরোধ করেছেন ইস্টবেঙ্গলের জন্য আইএসএলের দরজা খুলে দেওয়ার।
এখন দেখার যে, শেষ মুহূর্তে ফেডারেশন কর্তারা আয়োজকদের রাজি করাতে পারেন কিনা। তবে সবার আগে উঠে আসছে একটাই প্রশ্ন, ইস্টবেঙ্গল এবার আইএসএল খেলার জন্য সবদিক দিয়ে তৈরি কিনা?
মোহনবাগানের অবশ্য আইএসএল নিয়ে কোনও চাপ নেই। এটিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে তারা কার্যত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই মাঠে নামবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।