লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। লড়াইটা এখন দ্বি-মুখী হয়ে দাঁড়ালেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে রাস্তা কার্যত ফাঁকা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইসিসি চেয়ারম্যানের পদে শশাঙ্ক মনোহরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে জুলাইয়েই। পরবর্তী আইসিসি প্রধান হিসেবে লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন ইসিবি'র কলিন গ্রেভস। তবে হঠাৎ করেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আইসিসিতে দেখতে চেয়ে গ্রেভসের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু আন্তর্জাতিক তারকা। বিসিসিআইয়ের পদ থেকে যদি কুলিং-অফে যেতে হয় মহারাজকে, তবে তাঁর আইসিসির সিংহাসনে বসে পড়া অসম্ভব নয়।
মাঝে আবার পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি রিংয়ে টুপি ছুঁড়ে দিতে পারেন বলে খবর ছিল। তবে এটা ঠিক যে, সৌরভ চাইলে তিনিই পরবর্তী আইসিসি প্রধানের পদে ফেভারিট।
সৌরভ আদৌ আইসিসির পথে পা বাড়াবেন কিনা, তা সময় বলবে। তবে এহসান মানি নিজেকে সরিয়ে নিলেন লড়াই থেকে। সুতরাং সৌরভের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও কমল বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
মুম্বই মিররকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, 'এটা সত্যি যে, আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। আমি আগেও এটা সংবাদমাধ্যমে ঘোষণা করেছি। আমি কখনই আগ্রহী ছিলাম না। এই খবর ভারত থেকেই ছড়িয়েছে। আমাকে বেশ কয়েকজন নির্বাচনে লড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আমি আগ্রহী নই।'
এহসান মানি অবশ্য নিশ্চিন নন যে, সৌরভ বিসিসিআই ছেড়ে আইসিসি চেয়ারম্যানের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না বিসিসিআই সভাপতি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে কিনা। আইসিসির সঙ্গে আমার সম্পর্ক শেষ হয়েছে ২০০৬ সালে, যখন আমি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাই। আমি যখন আইসিসি সভাপতি হই, তখন আমার বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচনে লড়েনি। আপাতত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমাকে পিসিবি’র দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতে চাই।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।