পরিবর্তিত ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে চুনকাম হওয়ার পর প্রবল সমালোচনার তির ধেয়ে আসে পাকিস্তান দলের দিকে। তবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩১ রানে ইয়ন মর্গ্যানের ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কিছুটা হলেও নিজেদের ক্ষতে মলম লাগাতে সক্ষম হল পাকিস্তান।
করোনার প্রভাবে ওয়ান ডে সিরিজে প্রথম সারির গোটা ইংল্যান্ড খেলতে না পারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফের পূর্ণ শক্তির লায়ান্সরাই মাঠে নেমেছিল। প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে দলের দুই তারকা ব্যাটসম্যান মহম্মদ রিজওয়ান (৪১ বলে ৬৩) ও বাবর আজমের (৪৯ বলে ৮৫) ১৫০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের ওপর ভর করে বিশ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ ২৩২ রান তোলে পাকিস্তান। বল হাতে দুই উইকেট নিলেও নিজের নির্ধারিত চার ওভারে ৪৭ রান খরচ করেন টম কারান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড মালানকে (৬ বলে ১) শুরুতেই হারালেও জেসন রয় (১৩ বলে ৩২) নিজের পরাক্রম দেখান। এরপরে গোটাটাই ছিল লিয়াম লিভিংস্টোন শো। পেস হোক বা স্পিন, একে একে পাকিস্তান বোলারদের মাঠের বাইরে পাঠিয়ে ৪২ বলে নিজের শতরান পূর্ণ করেন ল্যাঙ্কাশায়ার অলরাউন্ডার। তবে শতরান পূর্ণ করার ঠিক পরের বলেই ১০৩ রানে তাঁকে সাজঘরে ফেরান শাদাব খান।
লিভিংস্টোন ফেরাতেই ম্যাচ নিজেদের দখলে করে নেয় পাকিস্তান। লিভিংস্টোন ও রয় বাদে, মঈন আলি (৪ বলে ১), অধিনায়ক মর্গ্যান (১৫ বলে ১৬), জনি বেয়ারস্টোর (৭ বলে ১১) মতো তারকা ইংলিশ ব্য়াটসম্যানরা সকলেই ব্যর্থ হন। একজনও যদি লিভিংস্টোনের সঙ্গ দিতে পারতেন বা লিভিংস্টোন ইনিংসের শেষ অবধি টিকে থাকলে সর্বকালের অন্যতম সফল রান তাড়া করে জয়ের সাক্ষী থাকতেই পারত ক্রিকেট বিশ্ব।
ছোট মাঠে যখন ফিল্ডারদের নিয়মিত মাঠের বাইরে থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হচ্ছে, তখন মাত্র ৩০ রান খরচ করে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ফের একবার নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিনিই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন। আফ্রিদি ছাড়া শাদাব খানও তিন উইকেট (৫২ রান খরচ করে) নেন।