ব্রেন্টফোর্ড ম্যানেজার থমাস ফ্রাঙ্ক আগেই জানিয়েছিলেন নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। সেইমতোই শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ব্রেন্টফোর্ড জার্সিতে নিজের অভিষেক ঘটালেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। তবে তাঁর দল ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হল।
গত বছর জুনে ইউরোর ম্যাচ চলাকালীনই মাঠে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন এরিকসেন। পরবর্তীতে তাঁর হৃদরোগ ধরা পড়ে। সেই কারণেই নিয়ম অনুযায়ী ইতালির সিরি এতে খেলতে পারতেন না ড্যানিশ মিডফিল্ডার। সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বমানের এরিকসেনকে দলে নেয় ব্রেন্টফোর্ড। ম্যাচের ৫২ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামেন এরিকসেন। কিন্তু নিউক্য়াসেলের বিরুদ্ধে ০-২ ব্যবধানে তাদের হারতেই হল।
ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটেই দশ জনে নেমে যায় ব্রেন্টফোর্ড। ম্যাট টার্গেটকে এক ফাউল করার জন্য ব্রেন্টফোর্ড ফরোয়ার্ড ভিএআরের সহায়তায় লাল কার্ড দেখানি রেফারি। বাড়তি খেলোয়াড়ে ম্যাচ খেলার সুবিধা নিয়ে ৩৩ মিনিটে রায়ান ফ্রেজারের ক্রস থেকে নিউক্যাসেলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন জোয়েলিংটন। প্রথমার্ধের শেষের দিকে ৪৪ মিনিটে জোসেফ উইলক নিউক্যাসেলের ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ম্যাচ জিতে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ১৪ নম্বরে উঠে এল নিউক্যাসেল। তাদের থেকে এক পয়েন্ট ও এক স্থান এগিয়ে রয়েছে ব্রেন্টফোর্ড।
অপরদিকে, টটেহ্যাম হটস্পারের দুই মহাতারকা সন হিউং-মিন এবং হ্যারি কেন, লিডস ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচেই প্রিমিয়র লিগ ইতিহাস গড়লেন। চোট আঘাতে জর্জরিত লিডসের বিরুদ্ধে ম্য়াচে প্রথম থেকেই দাপট দেখায় টটেনহ্যাম হটস্পার। ১০ মিনিটে রায়ান সেসেনইয়ংয়ের ক্রস থেকে স্পার্সের হয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন ম্যাট ডোহার্টি। তাঁর পাঁচ মিনিট পরেই দুর্দান্ত বল নিয়ন্ত্রণ দেখিয়ে ডোহার্টির সঙ্গে ওয়ান টু খেলে স্পার্সের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ডেয়ান কুলুসেভস্কি।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর লিডসের হয়ে রবিন কক প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গোল করার বড় সুযোগ পান। তবে তাঁর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ২৭ মিনিটে স্পার্সের হয়ে ম্যাচের তৃতীয় গোলচি করেন কেন। প্রথমার্ধে ৩-০ পিছিয়ে ম্যাচ প্রায় লিডসের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ৮৫ মিনিটে কেনের এক দুর্দান্ত লম্বা পাস থেকে সন স্পার্সের চতুর্থ ও ম্যাচের শেষ গোলটি করেন। ৪-০ ব্যবধানে ম্যাচ স্পার্সের পক্ষে শেষ হয়।
ঘটনাক্রমে, এই নিয়ে প্রিমিয়র লিগে একে অপরকে ৩৭ বার গোলের অ্যাসিস্ট দিলেন কেন-সন, লিগের সর্বকালের সর্বোচ্চ। এর আগে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ও দিদিয়ের দোগ্রবা একে অপরকে ৩৬টি গোলের অ্যাসিস্ট করেছিলেন, যা এতদিন লিগ সর্বোচ্চ ছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন কেন-সন। এই জয়ের ফলে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে উঠে এল স্পার্স। চতুর্থ স্থানে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের থেকে দুই ম্যাচ কম খেলে পাঁচ পয়েন্টে পিছিয়ে তারা। নাগাড়ে চতুর্থ ম্যাচ হেরে ১৬ নম্বরে নেমে গেল লিডস ইউনাইটেড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।