স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনার হাত ধরে ফুটবল বিশ্বে পা রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রিয় ক্লাবের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করেছিলেন মেসি। কাগজের একটি ন্যাপকিনে (হাত বা মুখ মোছার কাগজ) সই করে ক্লাবের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করেছিলেন লিওনেল মেসি। ২৪ বছর আগের সেই দিনটা যদি না আসত, তা হলে হয়তো এই প্রজন্মের কিংবদন্তি ফুটবলারকে চিনতেই না কেউ। এরপরে মেসি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হয়ে উঠেছেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিখ্যাত হয়েছেন। তবে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনার সঙ্গে সেই চুক্তির তাৎপর্য ছিল অন্যরকম।
ওই চুক্তির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেস্তোরাঁর ন্যাপকিন। সেটাই এ বার নিলামে উঠতে চলছে। কিছুদিন আগে কাতার বিশ্বকাপে যে জার্সি পরে খেলেছিলেন মেসি, তা নিলামে উঠেছিল। বিপুল অর্থে বিকিয়েছে ৬টা জার্সি। ন্যাপকিন চুক্তির দাম আরও বেশি হতে পারে, এমনই মনে করছে ফুটবল বিশ্ব। ১৩ বছর বয়সের ছোট্ট মেসির সই করা সেই ন্যাপকিন বা সাদা কাগজটিও এ বার নিলামে উঠতে চলেছে।
এই ন্যাপকিন চুক্তি এতদিন রাখা ছিল বার্সেলোনার মিউজিয়ামে। চাইলে তা দেখতেও পারতেন সমর্থকরা। হঠাৎই সেই চুক্তি পত্র নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের নামী নিলাম সংস্থা বোনহ্যামস মেসির সেই চু্ক্তর কাগজটি নিলামে তুলবে। ১৮-২৭ মার্চ ব্রিটিশ নিলাম হাউসে তা কেনার জন্য হাজিরও হতে পারবেন বহু আগ্রহীরা। মেসির কেরিয়ারে এই ন্যাপকিন চুক্তির মূল অপরিসীম। শুধু তাই নয়, এর আগে এ ভাবে কোনও ফুটবলারের সই হয়নি কোনও ক্লাবে। যে কারণে ওই চুক্তির ঐতিহাসিক মূল্য অপরিসীম। ২৪ বছরের পুরনো ওই ন্যাপকিনের টুকরো এতদিন সামলে রেখেছিল ক্লাব। এ বার মেসি প্রেমী কারও বাড়িতে জায়গা পাবে ফুটবল বিশ্বের বিস্ময়কর এক চুক্তিপত্র। আশা করা হচ্ছে বিশ্ব বাজারে ন্যাপকিনটির দাম উঠতে পারে ৩ লক্ষ পাউন্ড থেকে ৫ লক্ষ পাউন্ড (ভারতীয় মূল্যে যা ৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা থেকে ৫ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা)।
বার্সেলোনার হয়ে ১৭ বছর টানা খেলেছেন লিওনেল মেসি। বার্সার জার্সি গায়ে ৭৭৮টা ম্যাচ খেলেছিলেন। আর্জেন্তিনার মহাতারকা করেছিলেন ৬৭২ গোল। বর্তমানে তিনি ইন্টার মায়ামিতে খেললেও এখনও বার্সেলোনা ক্লাবের সমর্থকরা ভুলতে পারেনি তাঁকে। প্যারিস সাঁজা ঘুরে এখন ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবে খেলছেন। এই মেসিই ২০০০ সালে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে ফুটবল বিশ্বে নিজের যাত্রা শুরু করেছিলেন। বার্সেলোনার মারিয়া মিনগুয়েলা ট্যালেন্ট স্কাউটের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই খুঁজে বের করেছিলেন প্রতিভাবান মেসিকে। শুধু খুঁজে বের করা নয়, বার্সেলোনায় মেসির উত্থানের পিছনেও ছিল তাঁর বড় ভূমিকা। স্পেনের মন্টজুসের একটি রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজের সময় মেসির সঙ্গে দেখা হয়েছিল বার্সেলোনার টেকনিকাল সচিব কার্লেস রেক্সখের। মেসিকে যুব দলে নেওয়া হবে, কথা দিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রতিশ্রুতিই লিখে দিয়েছিলেন রেস্তোরাঁর ন্যাপকিনে। কার্লেসের পাশাপাশি ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সেই ন্যাপকিনে সই করেছিলেন ছোট্ট লিওনেল মেসিও। এবার সেটাই নিলামে উঠতে চলেছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।