শনিবার, ১২ অগস্ট যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মরশুমের প্রথম ডার্বি ঘিরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে গিয়েছে। ডুরান্ড কাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠেছে। মরশুমের প্রথম ডার্বি নিয়ে নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় প্রশাসন। সব দিকের সতর্কতা বেশ আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। আগেই এই ম্যাচের টিকিটের সংখ্য়া কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ অবশ্যই স্টেডিয়ামে সমর্থকদের সংখ্যা কিছুটা কমাতে চেয়েছে প্রশাসন। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এবার এই ম্যাচ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। ম্যাচের আগে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বিধাননগর ডিসিডিডি বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান সেই সিদ্ধান্তের কথা।
ম্য়াচে দর্শকদের ব্যানার, পোস্টার, বাজি, দেশলাইয়ের মতো বেশ কিছু জিনিস আনতে বারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ যে সব বস্তু মাঠে ছোড়া যায়, সেগুলি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। এমনকী ছাতা, জলের বোতল নিয়েও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দর্শকরা তাদের সঙ্গে শুধু মোবাইল ও পার্স নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। নির্দেশিকা থাকার পরও যদি কারোর কাছে বাজি পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই স্পষ্টভাবে জানিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। তাদের তরফে এই বিষয় গুলো জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিউজিকাল যন্ত্রাদি নিয়ে মাঠে ঢোকাও মাঠে বারণ। দর্শকদের সুবিধার্থে যুবভারতী স্টেডিয়ামের প্রধান গেটের বাইরে সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে এবং সন্ধ্যা বেলা খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে যাতে স্টেডিয়ামের বাইরে আলোর কোন ঘাটতি না থাকে সেই কারণে আলাদা করে লাইটয়ের বন্দোবস্তও করা হচ্ছে। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
বিধাননগর ডিসিডিডি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘আগামীকাল ডুরান্ড কাপে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজিত হতে চলেছে। ৬৩ হাজার ৫০০ জন দর্শকের এই ম্যাচ দেখতে আসার কথা। আগামীকাল খেলার নিরাপত্তা এবং যান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রায় ২ হাজার ৬০০ জন পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১৮ জন ডিসি এবং অ্যাডিশনাল ডিসির ব়্যাাঙ্কের অফিসার থাকবেন।’
বিশ্বজিৎ ঘোষ আরও বলেন, ‘ডার্বি ম্যাচটি শনিবার বিকেল ৪:৪৫ নাগাদ শুরু হবে, আড়াইটার মধ্যে গেট খুলে দেওয়া হবে। সমর্থকদের অনুরোধ করা হচ্ছে তারা নির্দিষ্ট সময়ের খানিকটা আগে এসে যেন তাদের নির্দিষ্ট সিটে বসে যান। A, B, C ও D মোট চারটি ব্লক রয়েছে। প্রত্যেকটি ব্লকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য সিনিয়র অফিসারদের রাখা হয়েছে। প্রতিটি গেটেও সিনিয়র অফিসাররা থাকবেন। তারা নির্দিষ্ট ভাবে চেকিং করে স্টেডিয়ামের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।’
দুই দলের অনুরাগীরা কোন কোন গেট দিয়ে মাঠে ঢুকবেন এবং কোথায় গাড়ি রাখবন, সেই বিষয়েও জানিয়ে দেন বিধাননগর ডিসিডিডি। বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘মোহনবাগানের যে সকল দর্শকরা আসবেন তাঁরা ৩এ, ৪ এবং ৫ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকবেন। এদের মধ্যে যারা গাড়িতে করে আসবেন তারা নেমে যাওয়ার পর ক্যানেল সাইড রোডে পার্কিং করবেন। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ১,২ এবং ৩ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকবেন। আর তাদের গাড়িগুলো থাকবে আইএ মার্কেট এর কাছে। অন্যান্য ভিআইপিদের জন্য যে গাড়িগুলো রাখা হবে সেগুলো সুভাষ সরোবর ও মিশ্র আইল্যান্ডের কাছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।