চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ম্যাচ হারার সমস্ত দায় নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ম্যাথিয়াস ডি'লিট। ম্যাচের মধ্যে নিজের বোকামি স্বীকার করে নিলেন ডাচ সেন্টারব্যাক। দ্বিতীয়ার্ধে চেক প্রজাতন্ত্রের গোলকিপার ভাচলিককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হলেন নেদারল্যান্ডসের দনিয়েল মালেন। এরপরেই প্রতি–আক্রমণে উঠে গেল চেক প্রজাতন্ত্র। সেই সময় বড় সর্বনাশটা করে বসলেন ডাচদের সেন্টারব্যাক ম্যাথিয়াস ডি'লিট।
হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে পুসকাস এরিনায় ম্যাচ চলাকালীন ম্যাচের ৫২ মিনিটে গোলমুখী আক্রমণের সময় হাত দিয়ে বল আটকে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখলেন ম্যাথিয়াস ডি'লিট। প্রথমে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি, এরপরে ভিএআরের সহায়তা নিয়ে রেফারি ম্যাথিয়াস ডি'লিটকে লাল কার্ড দেখান। এরফলে বাকি ম্যাচটা ১০ জনেই খেলতে হয় ফ্রাঙ্ক ডি'বোরের ছেলেদের। আর এই লাল কার্ডের মধ্যে দিয়েই এক লজ্জার হারের সম্মুখীন হল ডাচ দল।
ম্যাচের পরে নিজের ভুল স্বীকার করে নিলেন নেদারল্যান্ডসের সেন্টারব্যাক ম্যাথিয়াস ডি'লিট। জুভেন্টাসের রক্ষণভাগের এই তারকা ম্যাচ শেষে একটি ডাচ গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘সবকিছু নিয়ন্ত্রণেই ছিল। আমি মাটিতে পড়ে গিয়েছিলাম। সে সময় পেছন থেকে ধাক্কা খাই। ওই সময় বলে হাত লেগে যায়।’ এরপের নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ডাচ তারকা। ঐ মুহূর্তেই যে খেলা চেক প্রজাতন্ত্রের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে, সেটি স্বীকার করে ম্যাথিয়াস ডি'লিট জানান, ‘ঠিক ওই মুহূর্তই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে গিয়েছিল। আমি স্বীকার করছি, এর জন্য আমিই দায়ী। তবে আমি গর্বিত যে আমার সতীর্থরা সেই অবস্থাতেও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়েগেছে।’
শেষ পর্যন্ত ০-২ গোলে হেরে এবারের ইউরো কাপ থেকে বিদায় নিতে হয় নেদারল্যান্ডসকে। ম্যাথিয়াস ডি'লিট দলের এই হারের দায়ভার পুরোটাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় এমন ঘটনা না হলে হয়তো এদিনের ম্যাচের ফল অন্য হতেই পারত। কারণ এর ১৩ মিনিট পরেই প্রথম গোল হজম করে নেদারল্যান্ড, আর ম্যাচের ৮০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে ডাচ দল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।