পরের ম্যাচ কলকাতা ডার্বি। তার আগে জামশেদপুর এফসি-কে হারিয়ে ভরপুর অক্সিজেন পেয়ে গেল মোহনবাগান এসজি। লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে ভালো জায়গায় থাকতে হলেও, এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব মিলিয়ে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডে এখন বসন্তের হাওয়া।
আর হবে নাই বা কেন, তিন বিদেশি স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিন্স এবং আর্মান্দো সাদিকু গোল করেছেন। ভারতীয় তারকা মনবীর সিং দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। শেষ গোলটিতে অ্যাসিস্টের ক্ষেত্রে তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি, যেহেতু সাদিকুর শটটি ডিফ্লেকশন হয়ে গোলে ঢুকেছিল। কিন্তু বাগানের তিনটি গোলের পিছনেই রয়েছেন মনবীর। ডিফেন্ডাররাও বেশ ভালো ছন্দে। মাঝমাঠে জনি কাউকো ফুল ফোটাচ্ছেন। আর কী চাই!
শুক্রবার ঘরের মাঠে যে লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, সেই লক্ষ্যপূরণ হয়েছে। আর ডার্বির আগে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ৩-০ জয়ের পর দলের পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাগান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস।ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের দল দারুণ উন্নতি করেছে। আজ দলের খেলায় আমি খুব খুশি। এর আগে আমরা যে ভুলত্রুটি করেছিলাম, সেগুলি এই ম্যাচে শুধরে নিয়েছে আমার ছেলেরা। আজ অন্য সিস্টেমে, অন্য পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছি। সব ম্যাচে একই ভাবে খেলা সম্ভব ছিল না। তা হলে প্রতিপক্ষ আমাদের পরিকল্পনা সহজেই বুঝে যেত। এদিন আমাদের প্রতিপক্ষও বেশ ভালো খেলেছে। অনেক সুযোগও তৈরি করেছিল ওরা। আমরা ৭৫ মিনিট ভালো খেলেছি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে আমাদের। বাকি সময়টা আমরাই আধিপত্য ধরে রেখেছিলাম। যার ফলে স্কোরও সে রকমই হয়েছে।’
এ দিনের জয়ের ফলে ১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বই সিটি এফসি-কে টপকে টেবলের দু’নম্বরে উঠে এসেছে মোহনবাগান। একটি ম্যাচ বেশি খেলে বাগানের চেয়ে দু’পয়েন্ট বেশি নিয়ে এক নম্বরে রয়েছে ওড়িশা এফসি। তবে মোহনবাগানের সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩২ পয়েন্ট পেয়ে মুম্বইয়ের দল রয়েছে তিন নম্বরে। এক নম্বরের দৌড়ে টিকে থাকতে গেলে এর পরের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল এফসি-র বিরুদ্ধে জিততেই হবে হাবাস ব্রিগেডকে। তবে ডার্বি নিয়ে নাকি এখনও ভাবনাচিন্তাই শুরু করেননি হাবাস।
আসলে ফিরতি ডার্বি ন’দিন পরে। হাতে অনেকটাই সময় রয়েছে। তাই ধীরেসুস্থে ইস্টবেঙ্গল বধের ছক কষবেন হাবাস। তিনি বলেছেন, ‘এই জয়টা খুবই আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই লক্ষ্যপূরণ হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবার সময় পাইনি। ডার্বিতে অন্য ম্যাচ, অন্য প্রতিপক্ষ। আমরা এখন এই ম্যাচের জয় উপভোগ করতে চাই। পরের ম্যাচ নিয়ে পরের সপ্তাহে ভাবা যাবে।’
জনি কাউকোর আলাদা প্রশংসা করেছে হাবাস। তিনি মনে করেন, কাউকো একজন দলের লিডার। তবে বাগান কোচ এ কথাও জানিয়েছেন, তাঁর দলে একজন নেতা নয়, সকলকে তিনি একই ভূমিকায় দেখতে চান। হাবাস বলেছেন, ‘জনি কাউকো যথেষ্ট ভালো ও পেশাদার ফুটবলার। ওকে আমাদের অবশ্যই দরকার। তবে আমার দলে একজন নেতা নয়, কুড়ি জন নেতা চাই আমি। কারণ, দলে যদি মাত্র একজন নেতা থাকে, সে যখন কোনও কারণে অনুপস্থিত থাকবে, তখন গোটা দলটাই দিশাহারা হয়ে যাবে। একাধিক নেতা থাকলে, সেই সমস্যা হবে না।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।