যৌন নির্যাতনের চার্জ গঠন ড্যানি আলভেসের বিরুদ্ধে, গত ছয় মাস ধরে জেলবন্দি নেইমার সতীর্থ

এবার আরও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার ড্যানি আলভেস। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। স্প্যানিশ কোর্টে প্রাথমিকভাবে তার প্রমাণও মিলেছে। ফলে বেশ চাপে পড়েছেন প্রাক্তন বার্সা তারকা।

স্পেনের জেলে বন্দী ড্যানি আলভেস (ছবি-এএফপি)

শুভব্রত মুখার্জি: ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ড্যানি আলভেসের জন্য এল অত্যন্ত খারাপ খবর। তাঁর বিরুদ্ধে আগেই উঠেছিল যৌন নির্যাতনের অভিযোগ।যা নিয়ে স্পেনের কোর্টে চলছিল বিচার প্রক্রিয়া। ছয় মাস জেলে ইতিমধ্যেই কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। এবার তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় শাস্তি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। ফলে এবার আরও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। স্প্যানিশ কোর্টে প্রাথমিকভাবে তার প্রমাণও মিলেছে। ফলে বেশ চাপে পড়েছেন প্রাক্তন বার্সা তারকা।

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলেছে। অবশেষে স্পেনের একজন বিচারক বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে আলভেসকে অভিযুক্ত করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিচারক। যদিও এখনও এই দোষ প্রমাণিত হওয়ার ফলে কি শাস্তি পেতে চলেছেন আলভেস তা জানানো যায়নি। প্রসঙ্গত স্পেনের আইন অনুযায়ী ধর্ষণের কোনও ঘটনার প্রথমে তদন্ত হয় সাধারণ যৌণ নির্যাতনের অভিযোগ হিসেবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে।

অভিযোগকারিণীর অভিযোগ ছিল গত বছরের অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন আলভেস‌। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্পেনের আদালত তাঁর জামিনের আবেদনে সাড়া দেয়নি। এই আবেদন না মঞ্জুর করে তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই বার্সেলোনা একটি কারাগারে রয়েছেন এই ফুটবলার।

উল্লেখ্য গত বছরের ডিসেম্বরে বার্সেলোনায় একটি নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলেন ওই মহিলা অভিযোগ করা হয়েছে সম্মতি ছাড়াই আলভেস নাকি তার অন্তর্বাসের নীচ দিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন। মহিলা আপত্তি জানালে আলভেস তাঁকে চড় মারেন। পরবর্তীতে তাঁকে জোড় করে নিয়ে গিয়ে নাইটক্লাবের বাথরুমে ধর্ষণ করেন। শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন আলভেস। মহিলাকে তিনি চেনেন না বলেও দাবি করেছিলেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার। গত এপ্রিলে সাক্ষ্য পরিবর্তন করেন ৪০ বছর বয়সি ফুটবলার। স্বীকার করে নেন অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা। তবে দুজনের সম্মতিতে তা হয়েছিল বলে দাবি জানানো হয়েছিল আলভেসের তরফে। যা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে স্পেনীয় আদালতে মিথ্যা বলেই প্রমাণ হয়েছে।