আস্থাভঙ্গের দায়ে AIFF সচিব পদ হারালেন শাজি প্রভাকরণ, কী প্রভাব পড়বে ভারতীয় ফুটবলে?

আস্থাভঙ্গের কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল যে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে মঙ্গলবার প্রভাকরণকে বরখাস্তের চিঠি প্রদান করেছিলেন। শাজি প্রভাকরণ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে হাই-প্রোফাইল দায়িত্বটি পেয়েছিলেন। মাত্র ১৪ মাসেই ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এই চাকরিটি হারালেন শাজি প্রভাকরণ।

চাকরি হরালেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের মহাসচিব শাজি প্রভাকরণ। বুধবার ফেডারেশনের এক শীর্ষ কর্তা প্রথমে এই খবরটি জানিয়েছিলেন যে আস্থাভঙ্গের কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল যে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে মঙ্গলবার প্রভাকরণকে বরখাস্তের চিঠি প্রদান করেছিলেন। শাজি প্রভাকরণ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে হাই-প্রোফাইল দায়িত্বটি পেয়েছিলেন। মাত্র ১৪ মাসেই ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এই চাকরিটি হারালেন শাজি প্রভাকরণ।

আইএফএফ সহ-সভাপতি এনএ হারিস পিটিআইকে বলেছেন, ‘আস্থাভঙ্গের কারণে এআইএফএফ সভাপতি প্রভাকরণকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিঠি দিয়েছেন। তিনি আর এআইএফএফ মহাসচিব নন।’ তিনি আরও জানিয়ে বলেছিলেন যে, ‘ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সত্যনারায়ণ এম ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন।’ হারিস বলেছেন AIFF কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরাও বরখাস্ত মহাসচিব শাজি প্রভাকরণের কাজে খুশি ছিলেন না এছাড়াও চৌবে এবং প্রভাকরণের মধ্যে একটি সমস্যা তৈরি হয়েছিন সব মিলিয়ে মাত্র ১৪ মাসের মধ্যেই চাকরি হারালেন শাজি প্রভাকরণ।

প্রভাকরণকে নতুন ডিসপেনশনের প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এখানে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছিল এবং অন্যান্য বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি সদস্যদের উন্নয়ন সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হারিস বলেন, প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য AIFF কার্যনির্বাহী কমিটির কোনও প্রয়োজন নেই। হারিস বলেন, ‘মহাসচিবের পদটি একটি বেতনের পদ এবং তাকে নির্বাহী কমিটি নিয়োগ দেয়নি। মহাসচিবকে নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষমতা সভাপতির আছে। তাই সভাপতি পদত্যাগপত্র জারি করেছেন।’ শাজি প্রভাকরণ এর আগে দিল্লির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ AIFF মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

এর আগে এআইএফএফের সচিব শাজি প্রভাকরণের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছিলেন খোদ ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অভিজিত্‍ পাল। সেই চিঠি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল ভারতীয় ফুটবল। ৩৭টি রাজ্য সংস্থাকে সেই চিঠির কপি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন অভিজিত্‍ পাল। বিষয় এতদূর গড়ায়, যে পাঁচ সদস্যের পর্যবেক্ষক বা বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল ফেডারেশন। এআইএফএফের ফিনান্স কমিটিতে আছেন অভিজিত্‍ পাল। ফেডারেশন সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আর তা নিয়েই বেড়েছিল বিতর্ক। ফেডারেশন সচিবকে ব্যক্তিগত ভাবে প্রশ্ন করার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্য সংস্থাগুলির কাছেও সেই চিঠির কপি পাঠিয়ে বিতর্ক বাড়িয়ে ছিলেন ওড়িশার অভিজিত্‍ পাল।