প্রয়োজনের সময় বরাবর ব্যাট হাতে ভারতীয় দলকে নির্ভরতা দেন চেতেশ্বর পূজারা। তা সত্ত্বেও স্ট্রাইক-রেট নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয় তাঁকে। পূজারার স্লো ব্যাটিং নিয়ে চর্চা চলে বিস্তর। চলতি ইংল্যান্ড সফরেও যার অন্যথা হয়নি। চেতেশ্বরকে মন্থর ব্যাটিংয়ের স্টাইল বদলানোর পরামর্শ পর্যন্ত দিতে দেখা যায় ব্রায়ান লারাকে।
হেডিংলে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পর চেতেশ্বর পূজারার টেস্ট কেরিয়ার শেষ হয়ে গেল বলে যাঁরা আওয়াজ তুলেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে তাঁদের মোক্ষম জবাব দেন টিম ইন্ডিয়ার নির্ভরযোগ্য তারকা। এমনকি পূজারার স্ট্রাইক-রেট নিয়ে যাঁরা সংশয় প্রকাশ করেন, তাঁরাও হতবাক হেডিংলে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে চেতেশ্বরের ব্যাটিং দেখে।
আগাগোড়া ৫০-এর উপরে স্ট্রাইক-রেটে রান তুললেন পূজারা। রোহিত শর্মার স্ট্রাইক-রেট যেখানে ৩৭.৮২, বিরাট কোহলি যেখানে ৪৭.৮৭ স্ট্রাইক-রেটে রান সংগ্রহ করেন, লিডসের তৃতীয় দিনের শেষে পূজারার স্ট্রাইক-রেট সেখানে ৫০.৫৫। তাও শতরানের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়ানোয় রান তোলার গতিতে ব্রেক লাগান চেতেশ্বর। নাহলে একসময় ৬০-এর উপরে ছিল পূজারার স্ট্রাইক-রেট।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চেতেশ্বর যেখানে গড়ানো শটে রান তুলতে অভ্যস্ত, সেখানে হেডিংলে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অনায়াসে পুল শটে বাউন্ডারি আদায় করে নিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ওভার্টনের বলে পুল শটে বাউন্ডারি মেরে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন পূজারা। এমন উলট ছবি স্বাভাবিকভাবেই অবাক করছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
এমনকি দিনের শেষবেলায় সতর্ক থাকার পরিবর্তে মঈন আলিকে টি-২০ সুলভ আগ্রাসনে যেভাবে বাউন্ডারিতে পাঠালেন, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না স্কোয়ার-লেগ আম্পায়ারও। তিনি কোনও রকমে বলের গতিপথ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন। নাহলে বড়সড় চোট পেতে পারতেন অম্পায়ার। সন্দেহ নেই পূজারাকে এমন আগ্রাসী মেজাজে কদাচিৎই ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে আগে। উল্লেখ্য, তৃতীয় দিনের শেষে পূজারা ১৮০ বলে ৯১ রান করে অপরাজিত। তিনি ইতিমধ্যেই ১৫টি চার মেরেছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।