সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের জন্য ভারতীয় দলের ঘোযণা হয়ে গিয়েছে। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে দলের অধিনায়ক করা হয়েছে লোকেশ রাহুলকে। সেই বিষয়ে তেমন চমক না থাকলেও দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে জসপ্রীত বুমরাহের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলে থেকে কিছু লোক ভ্রু কুঁচকেছেন।
২০১৬ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলা বুমরাহ ধীরে ধীরে দলের প্রধান বোলার তো বটেই, তার পাশপাশি বোলিং বিভাগের নেতাও হয়ে উঠেছেন। তবে বুমরাহের বদলে দিল্লি ক্যাপিটালসের বর্তমান বা প্রাক্তন অধিনায়ক যথাক্রমে ঋষভ পন্ত এবং শ্রেয়স আইয়ারকেই দলের সহ-অধিনায়ক করা উচিত ছিল বলে মত একাংশের। সেই যুক্তিকে খারিজ করে দিয়ে প্রাক্তন ভারতীয় নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ কিন্তু বুমরাহের সহ-অধিনায়ক হওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থনই করছেন।
PTI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জসপ্রীত উচিত বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন একজন তরুণ। তাহলে ওকে তার প্রতিদান দেওয়া হলে সমস্যা কোথায়, একজন ফাস্ট বোলার সব ফর্ম্যাটে ভাল করলে তাঁকে অধিনায়ক করার মধ্যে মুশকিলটা কী? ওকে সুযোগ দেওয়া না হলে ওর মধ্যে যোগ্যতা আছে কি না, সেই বিষয়ে তো কোনোদিন জানাই যাবে না। তবে হ্যাঁ, এক সিরিজে সহ-অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তটা সহজ। রোহিত এবং রাহুল দুইজনেই বাইরে থাকলে তখন অধিনায়ক বাছার ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা অন্যরকম হত।’
প্রসাদের মতে রোহিত এবং রাহুল, অন্তত ২০২৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন। এমন অবস্থায় পন্ত বা শ্রেয়সকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হলে ওদের মনে পরবর্তী অধিনায়ক হওয়ার আশা থাকবে, যেটা হয়তো বাস্তবায়িত হবে না। ‘আমার ওদের (সহ-অধিনায়ক) হিসেবে নির্বাচন কারণ হল আইয়ার সদ্য চোট সারিয়ে ফিরছে এবং পন্তের সাদা বলের ক্রিকেটে আরও বেশি পরিমাণে ধারাবাহিকতা দেখানোর প্রয়োজন। আমার মনে হয় যেহেতু অন্তত ২০২৩ অবধি রোহিত অধিনায়ক থাকবেন এবং রাহুল তাঁর সহকারী, পন্ত বা আইয়ারকে এই সময়ের মধ্যে সহ-অধিনায়কত্ব দেওয়ার অর্থ হল ওরা যে লিডারশিপ গ্রুপের অংশ, তার পূর্বাভাস দেওয়া, যেটা হয়তো সত্যি নয়।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।