শুভব্রত মুখার্জি
করোনার প্রকোপে ২০২০ সালে নির্ধারিত সময়ে আইপিএলের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। একেবারে শেষ মূহুর্তে এসে আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ বাতিল করার পরেই বিসিসিআই কোমর বেঁধে নামে আইপিএলের আয়োজনে। আরব আমিরশাহি বোর্ডের সহায়তাতেই বছরের শেষপ্রান্তে এসে সেই আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব হয়। সেই আইপিএল শেষ হতে না হতেই ২০২১ সালের আইপিএলের নির্ঘণ্ট বেজে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে করোনা আবহে উঠেছিল একাধিক প্রশ্ন। নিলাম হবে কিনা। ট্রেড উইন্ডো খুলবে কিনা। সেসব নিয়ে জল্পনার মাঝেই এই সব বিষয়ে এবার খোলসা করে জানালেন আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল।
করোনা প্রকোপের মধ্যেই বিসিসিআইয়ের ইচ্ছা ভারতের বুকে এবারের আইপিএল আয়োজন করার। দেশের মাটিতে ২০২১ সালের আইপিএল আয়োজন করতে তৎপর বিসিসিআই। সবকিছুই নির্ভর করছে দেশের কোভিড পরিস্থিতির উপর। সেই আবহে প্যাটেল ২০২১ সালের আইপিএল নিলাম, কোথায় হবে টুর্নামেন্ট তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন।
সময়ের অভাবে বা বলা ভালো কোভিডের কারণে ২০২১ সালে আইপিএলের মেগা নিলাম হচ্ছে না সেকথা জানিয়েছেন ব্রিজেশ প্যাটেল। তবে ফেব্রুয়ারিতে মিনি নিলামের ভাবনা রয়েছে বিসিসিআইয়ের। ১১ ফেব্রুয়ারি আইপিএলের মিনি নিলাম হতে পারে। ৪ জানুয়ারির বৈঠকের পরই 'ট্রেড উইন্ডো' খুলে দেওয়া হয়েছে। ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্রিকেটার ছাড়া যাবে।
ব্রিজেশ প্যাটেল জানান আটটি দলের সম্মিলিত ৮৫ কোটি টাকা এই মিনি নিলামে খরচের সুযোগ থাকছে। প্রসঙ্গত শেষ নিলামের পরে চেন্নাইয়ের কাছে বেঁচে রয়েছে মাত্র ১৫ লাখ টাকা। যা খবর তাতে তারা দুজন বেতনভুক ক্রিকেটার পীযূষ চাওলা এবং কেদার যাদবকে ছেড়ে দিতে চলেছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এমন একটি দল যারা তাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারকে রিটেন করতে চলেছে।তাঁদের পার্সে থাকতে পারে ১.৯৫ কোটি। রাজস্থানের পার্সে রয়েছে ১৪.৭৫ কোটি, হায়দরাবাদের রয়েছে ১০.১ কোটি, নাইটদের ঝুলিতে রয়েছে ৮.৫ কোটি, ব্যাঙ্গালোরের রয়েছে ৬.৪ কোটি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।