ব্যাটে-বলে সফল রাসেল, তবু কেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে? দেখে নিন KKR-এর ভরাডুবির সম্ভাব্য ৫টি কারণ।
1/5একেই সঠিক কম্বিনেশনের খোঁজে সারা টুর্নামেন্টে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়েছে কলকাতাকে। তার উপর চোটের জন্য লখনউ সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি উমেশ যাদব। দলের সেরা বোলার না থাকায় মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়ে কেকেআর। ম্যাচে উমেশের অভাব ঢাকতে পারেননি হর্ষিত রানা-শিবম মাভিরা।
2/5লখনউ ব্যাট হাতে আগ্রাসী মেজাজে ইনিংস শুরু করলেও মাঝের ওভারে আঁটোসাটো বোলিং করেন আন্দ্রে রাসেল-সুনীল নারিনরা। পরপর উইকেটও তুলে নেয় কলকাতা। তবে ১৯তম ওভারে ৫টি ছক্কা হজম করে শিবম মাভিই সুপার জায়ান্টসকে বড় রানের ইনিংস গড়তে সাহায্যে করেন। মাভি ৪ ওভারে ৫০ রান খরচ করেন। অন্যদিকে হর্ষিত রানা (২ ওভারে ২৭) ও অনুকূল রায় (৩ ওভারে ২৭) দু'জনে মিলে ৫ ওভারে ৫৪ রান খরচ করেন। ফলে সাউদিরা যে চাপটা তৈরি করেছিলেন লখনউয়ের উপরে, তা কেটে যায় পুরোপুরি।
3/5অ্যারন ফিঞ্চ ফর্মে নেই, সেটা বোঝার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন হয় না। তা সত্ত্বেও অজি তারকার উপর আস্থা রাখে কলকাতা। চার বিদেশি নির্বাচনে এক্ষেত্রে মোটেও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়নি কেকেআর। ওপেনার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারায় ফের ভরাডুবির মুখে পড়তে হয় কলকাতাকে।
4/5ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার যতদিন রান করেছেন, কলকাতার ব্যাটিংকে জমাট দেখিয়েছে। শ্রেয়স ব্যর্থ হতেই কেকেআরের ব্যাটিং লাইনআপকে নড়বড়ে দেখায়। বিশেষ করে আইয়ার, রানা ও রিঙ্কু, টপ-মিডল অর্ডারে তিন ভারতীয় তারকা একসঙ্গে ব্যর্থ হওয়ায় বড় রান তাড়া করা সম্ভব হয়নি কলকাতার পক্ষে।
5/5কলকাতার ব্যাটিংকে পুরোপুরি রাসেল নির্ভর দেখায়। অপর প্রান্ত দিয়ে বিন্দুমাত্র সাহায্য না মেলায় একা ব্যাট চালিয়ে দলকে জেতানো সম্ভব ছিল না দ্রে রাসের পক্ষে।