একশো বছরের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলার দিনে ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস নিয়ে যাঁরা আলোচনা করছেন, তাঁদের মুখে মুখে ঘুরছে একটা তত্ত্ব। মোহনবাগান না থাকলে ইস্টবেঙ্গলের জন্ম হতো না। জন্ম লগ্ন থেকেই কার্যত মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের খেলার মাঠের বৈরিতা দেখে আসছে কলকাতা ময়দান তথা ভারতীয় ফুটবলমহল। বরং বলা ভালো, ঘটি-বাঙালের লড়াই নিয়ে চর্চা চলে সারা ফুটবল বিশ্বে।
তবে এমন মাঠের শত্রুতার মাঝে মাঠের বাইরের বন্ধুত্বও কদাচিৎ চোখে পড়ে ফুটবলপ্রেমীদের। বন্ধুত্ব বলতে কুণ্ঠা বোধ হলে সৌজন্য বলে অনায়াসে বুঝিয়ে দেওয়া যায় ছবিটা। অতীতে মোহনবাগানের সাফল্যে ইস্টবেঙ্গলকে শুভেচ্ছা জানাতে, কিংবা ইস্টবেঙ্গলের কৃতিত্বকে বাগান শিবিরের কুর্নিশ জানাতে দেখার উদাহরণ রয়েছে বিস্তর। ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানে বাগান কর্তার অথবা সবুজ-মেরুনের অুষ্ঠানে লাল-হলুদ প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার ছবিও দেখা গিয়েছে। এবার সেরকমই পারস্পরিক সৌজন্য বিনিময়ের ছবি আরও একবার চোখে পড়ল।
শনিবারই একশো বছরে পা দিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। করোনা মহামারির জন্য জমকালো উৎসব পালন করতে না পারলেও ক্লাব তাঁবুতে শতবার্ষিকীর ঘরোয়া অনুষ্ঠান সারে লাল-হলুদ শিবির। এমন মাইলস্টোন ছোঁয়ার দিনে ইস্টবেঙ্গলকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেনি মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে নিজেদের প্রতিনিধির হাত দিয়ে ফুল-মিষ্টি পাঠায় মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার পড়শী ক্লাবের সৌজন্য সাদরে গ্রহণ করেন।
মোহনবাগান এমন সৌজন্য বিনিময়ের ছবি তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইস্টবেঙ্গলকে আরও একবার অভিনন্দন জানায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।