মেরেকেটে ৮০ দিন বাকি ছিল অলিম্পিক্সের। তখনই এসেছিল অপ্রত্যাশিত সুযোগটা। সেই কয়েকদিনেই নিজের সেরাটা দিয়ে প্রস্তুতি সেরেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক। যিনি আগামিকাল সকালে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সে যোগ্যতা অর্জন পর্বে নামতে চলেছেন।
(টোকিয়ো অলিম্পিক্স ২০২০-এর যাবতীয় খবর, আপডেটের জন্য চোখ রাখুন -- এখানে)
যদিও নিজের জীবনের অন্যতম 'সেরা' প্রস্তুতির আগে প্রবল সমস্যায় ছিলেন পিংলা ব্লকের করকাই চককৃষ্ণদাস দস্যি মেয়েটা অলিম্পিক্স.কমে প্রণতি জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে এক বছরেরও বেশি সময় প্রস্তুতির জন্য সব প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছিল না তাঁর কাছে। সেই সময় মূলত শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন রকম অনুশীলন করতেন। কিন্তু জিমন্যাস্টিক্সের জন্য যে প্রশিক্ষণ করতে হয়, তা করতে পারেননি। প্রণতির কোচ লক্ষ্মণ মনোহর শর্মা বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণ করছিলাম। কিন্তু সাধারণ ক্লাবে একই ধরনের পরিকাঠামো থাকে না। শারীরিকভাবে তৈরি থাকার জন্য ডিসেম্বর থেকে আমরা অনুশীলন করছিলাম।’
সেই পরিস্থিতিতে অলিম্পিক্সের টিকিট পেয়ে উপযুক্ত পরিকাঠামোয় প্রশিক্ষণের শুরুর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল প্রণতির। যিনি গত মে মাসে মহাদেশীয় কোটায় কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই টোকিয়োয় সুযোগ পেয়েছেন। প্রণতির চোট বলেন, ‘আমরা যখন উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পরিকাঠামোয় ফিরে আসি, তখন কিছুটা সমস্যা ছিল।’ তবে সেইসব বাধা-বিপত্তি দূর করেই কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গিয়েছেন প্রণতি। তবে চোটের কথা মাথায় রেখে বেশি ঝুঁকি নেননি জিমন্যাস্টের কোচ। চোটমুক্ত হয়েই নিজের ছাত্রীকে টোকিয়োয় ম্যাটে পারফরম্যান্সের জন্ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। সেইসঙ্গে নিশ্চিত করেন, অলিম্পিক্সে যাতে নিজের সেরাটা উজাড় করতে দিতে পারেন ২৬ বছরের প্রণতি।
যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রণতি অত্যন্ত প্রতিভাবনা হলেও তিনি যে পদক-প্রত্যাশী, তা ঠিক বলা যাচ্ছে না। তাতে অবশ্য আশা ছাড়ছেন না কেউ। বরং টোকিয়োর ম্যাটে পিংলার মেয়ের ‘ম্যাজিকের’ আশায় বুক বাঁধছে ক্রীড়ামহল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।