দেশের হয়ে খেলা নাকি অর্থের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি T20 লিগ! কোন পথে যাবেন লকি ফার্গুসন?

নিউজিল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিন ক্রিকেটার বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিকে পর্যন্ত নিতে অস্বীকার করেছেন। কারণ অবশ্যই বিদেশের ফ্রাঞ্চাইজি টি-২০ লিগে খেলা। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিউয়ি পেসার লকি ফার্গুসন জানিয়েছেন যাই ঘটুক না কেন এখনও দেশের হয়ে খেলার আলাদা একটা তাগিদ রয়েছে।

লকি ফার্গুসন (ছবি-পিটিআই)

শুভব্রত মুখার্জি: গোটা বিশ্ব জুড়ে এখন টি-২০ ক্রিকেটের‌ রমরমা। ক্রিকেটের নবতম এবং অন্যতম সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের কারণে চাপের মুখে পড়েছে ওয়ানডে, টেস্টের মতন ফর্ম্যাট। বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফ্রাঞ্চাইজি টি-২০ লিগ নিয়ম করে খেলা হচ্ছে। আর তাতে যে অঙ্কের টাকায় ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে তা এককথায় অকল্পনীয়। আর তার ফলে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক চুক্তির প্রস্তাবকে পর্যন্ত ক্রিকেটাররা উপেক্ষা করতে পিছপা হচ্ছেন না। ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ক্ষেত্রে। যেখানে তাঁদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিন ক্রিকেটার বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিকে পর্যন্ত নিতে অস্বীকার করেছেন। কারণ অবশ্যই বিদেশের ফ্রাঞ্চাইজি টি-২০ লিগে খেলা। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিউয়ি পেসার লকি ফার্গুসন জানিয়েছেন যাই ঘটুক না কেন এখনও দেশের হয়ে খেলার আলাদা একটা তাগিদ রয়েছে।

উল্লেখ্য গত বছর মার্টিন গাপটিল, ট্রেন্ট বোল্ট এবং জিমি নিশাম বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিকে উপেক্ষা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ফার্গুসনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এর ফলে দেশের টি-২০ ক্রিকেটের ভবিষ্যতের উপর প্রভাব পড়বে কিনা? যার উত্তরে ফার্গুসন জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় না এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে রয়েছে বলে। সত্যি বলতে এটা আমার পে-গ্রেডের উপরের কথা। আমার দিক থেকে বলতে হলে এটাই বলতে পারি ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ দিকে থাকা ক্রিকেটাররা যখন এমন সিদ্ধান্ত নেন তখন তাঁর যুক্তি বোঝা যায়। তবে সেখানে দাঁড়িয়ে এই কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি ওঁরাও (যারা কেন্দ্রীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেননি) নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে মুখিয়ে থাকবেন। ফলে যেটা করতে হবে তা হল সমতা বজায় রাখতে হবে। আমি যেটা বললাম এই বিষয়ে যারা উপরের দিকে রয়েছেন তাঁরা নিশ্চয়ই ভেবে চিন্তে একটা উপায় বের করবেন।’

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘একজন ক্রিকেটারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি এটাই বলতে পারি আমরা সকলেই ব্ল্যাকক্যাপসের (নিউজিল্যান্ড) হয়ে খেলতে আনন্দ অনুভব করি। আমাদের ক্রিকেটের একটা আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। আমি সেটা দেখেই বড় হয়েছি। নতুন নতুন ট্যালেন্টকে সামনে উঠে আসতে দেখেছি। যারা দেশের হয়ে খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। যা দেখাটা সত্যিই খুব সন্তুষ্টির। তাই একজন ক্রিকেটারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে পারি আমরা নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চাই। বিশ্বকাপে খেলতে চাই। যেটা নিয়ে সকলেই ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখে। আমি মনে করি দেশের হয়ে খেলার সেই তাগিদটা এখনও রয়েছে।’