ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হলেও রোহিত শর্মার ইনিংস সকলকে প্রভাবিত করে। ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একাধিক নজির তাঁর নামে থাকলেও, লাল বলের ক্রিকেটে এই সবে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করা শুরু করেছেন রোহিত শর্মা। তবে তাঁর ব্যাটিং সম্পর্কে প্রচলিত কয়েকটি ধারণাকে একেবারেই মানতে নারাজ রোহিত।
প্রচলিত রয়েছে শট খেলার সময় রোহিতের কাছে অত্যাধিক সময় থাকে, যার ফলে খুব সহজেই সে ফাস্ট বোলারদের গতি সামলে বড় বড় রান করতে সক্ষম হন। তবে রোহিতের মতে প্রস্তুতি এবং সর্বদা সজাগ থাকাই যে কোন ব্যাটসম্যানের সাফল্যের সঙ্গে ফাস্ট বোলারদের খেলার প্রধান কারণ।
Sky Sports-র হয়ে দীনেশ কার্তিককে এক সাক্ষাৎকারে রোহিত জানান, ‘অনেককেই বলতে শুনেছি যে আমার কাছে কোন শট খেলার জন্য অনেক সময় থাকে। আমি তাদের জানাতে চাই যে আমার কাছে কোনরকম অতিরিক্ত সময় বা সেই ধরনের কিছু নেই। ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করার সময় সবসময় তোমায় প্রস্তুত থাকতে হবে। অতিরিক্ত সময় বলে কিছু নেই। সকল ব্যাটসম্যানকেই বোলারদের বিরুদ্ধে প্রতিটা বল খেলার সময় সতর্ক থেকে ওই নির্দিষ্ট বলকে খেলত হয়।’
পাশাপাশি রোহিতের ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে ‘লেজি এলিগেন্স’ উক্তিটিও বহুল ব্যবহৃত। এই শব্দটি নিয়েও সমস্যা তারকা ক্রিকেটারের। তাঁর কথা অনুযায়ী ক্রীড়া জগতের ক্ষেত্রে কারুরই অলসতা চলে না। এহেন আখ্যানের অর্থ তাঁর জানা নেই বলেও দাবি রোহিতের।
‘তুমি যখন কোন খেলা থেলছ, তখন তুমি অলস হতে পার না। খেলার মধ্যে অলসতা চলে না। মাঠের মধ্যে অলসতা দেখালে নিজের লক্ষ্যে পৌ়ঁছানো কখনই সম্ভব নয়। কেউ যখন ১৪৫ কি.মি-র গতিতে বল করে এবং আমি তাকে পুল শট মারি, তখন তার জন্য আমি নির্দষ্ট পরিমাণ শক্তি খরচ করি। তার জন্য মেহনত লাগে। ভারতের খেলা শুরু করার পর থেকেই লোকের মুখে এই শব্দটা শুনেছি। সত্যি বলে আমি এর মানে বুঝি না।’ দাবি রোহিতের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।